২১ নভেম্বর, ২০১৮ ১২:৩০

আরও অনেক সাংবাদিককে অপহরণ-হত্যা করেছে সৌদি আরব?

অনলাইন ডেস্ক

আরও অনেক সাংবাদিককে অপহরণ-হত্যা করেছে সৌদি আরব?

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে সৌদি আরব সরকার। বিশেষ করে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি আলোচনা হচ্ছে সর্বত্র।

এরই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জামাল খাশোগির হত্যা যুবরাজের নির্দেশেই হয়েছে।

অবশ্য, সৌদি আরব শুরু থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুবরাজের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি নাকচ করে আসছে।

বিশ্বজুড়ে এই সমালোচনার মধ্যেই এবার তুর্কি বিন আবদুল আজিজ আল-জাসের নামের আরও এক সাংবাদিককে হত্যার অভিযোগ এল সৌদি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এছাড়া আরও অনেক সাংবাদিককে অপহরণ করা হয়েছে, পরে যাদের কোনও খোঁজ মেলেনি।

সোমবার কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়।
এতে বলা হয়, তিনি (জাসের) অজ্ঞাত টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সৌদি কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কুকর্ম তুলে ধরতেন। আট মাস আগে আল-জাসেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে কারাবন্দি অবস্থায় নির্যাতনের মুখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আরও বলা হয়, সৌদি কর্তৃপক্ষের সমালোচকদেরকে সরিয়ে দেওয়ার মূল পরিকল্পনাকারী হলেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের উপদেষ্টা সৌদ আল–কাহতানি। যার নাম উঠে এসেছে খাশোগি হত্যায়ও।

‘আরাবি২১’ নামের একটি গণমাধ্যমের এডিটর-ইন-চিফ ফেরাস আবু হেলাল বলেন, তিনি (কাহতানি) শুধু খাশোগি হত্যা নয়, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ আল-হারিরি’কে অপহরণের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। শুধু জনমত গঠন নয়, মোহাম্মদ বিন সালমানের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও তিনি খুবই ক্ষমতাবান।

‘দি ইনস্টিটিউট ফর গালফ অ্যাফেয়ার্স’র পরিচালক আলি আল-আহমেদের মতে, আল-জাসেরের মতো আরও অনেক সাংবাদিক তাদের অনলাইনে রাজনৈতিক মত প্রকাশের জন্য নিখোঁজ ও কারাবন্দি হয়েছেন।

তিনি বলেন, বিখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট তুরাদ আল-আমরি নিখোঁজ আছেন। আল জাজিরা অ্যারাবিকের প্রতিনিধি আলি আল-ধুফাইরি দুই বছর ধরে নীরব। তাদের বিষয়ে আমরা এখন কিছুই জানি না।

পূর্বাঞ্চলীয় কাতিফ প্রদেশের বিক্ষোভ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি করায় ইসরা আল-ঘোমঘামকেও হত্যা করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন একসময় সৌদি আরবে কারাবন্দি থাকা আলি আল-আহমেদ।

সৌদি কর্তৃপক্ষ রেহাই দেয়নি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ডের সহযোগী অধ্যাপক সাহার খামিসকেও। এর আগে তারা ওমার আবদুল আজিজের অনলাইন কার্যক্রম থামাতে তার অ্যাকাউন্ট কবজা করার চেষ্টা চালিয়েছে। শেষমেশ তিনি নিজেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যান।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর