১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:৪১

কর হ্রাস ও মজুরি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন ম্যাক্রোঁ

অনলাইন ডেস্ক

কর হ্রাস ও মজুরি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন ম্যাক্রোঁ

ফ্রান্সে কয়েক সপ্তাহ ধরে জ্বালানি তেলের ওপর বাড়তি কর এবং আরো কয়েকটি ইস্যু নিয়ে চার সপ্তাহজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মধ্যে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে সর্বনিম্ন মজুরি বৃদ্ধি ও কর হ্রাসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ।

জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ম্যাক্রোঁ সহিংসতার নিন্দা করলেও ‘প্রতিবাদকারীদের ক্ষোভ গভীর এবং অনেক দিক থেকেই বৈধ ছিল’ বলে স্বীকার করে নিয়েছেন।

ভাষণে তিনি বলেন, অনেক লোক তাদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে অসুখী ছিল এবং ‘তাদের কথা শোনা হচ্ছিল না’ স্বীকার করেছেন।আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের ন্যায্যতা স্বীকার করে ২০১৯ সাল থেকে মাস প্রতি সর্বনিম্ন মজুরি ১০০ ইউরো বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।নিম্ন আয়ের পেনশনভোগীদের কর বাড়ানোর পরিকল্পনা বাতিল করা হবে, ওভারটাইমের মজুরির ওপর কর বসানো হবে না এবং বছর শেষে কর্মচারীদের করমুক্ত বোনাস দেওয়ার বিষয়ে নিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তবে বিত্তশালীদের ওপর কর পুনর্বহালের সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেছেন; বলেছেন, এটি আমাদের দুর্বল করবে, আমাদের চাকরি বাড়ানো দরকার। সর্বনিম্ন মজুরি সাত শতাংশ বাড়বে এবং এই বৃদ্ধিজনিত খরচ নিয়োগকারীদের বদলে সরকার বহন করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নে মোট আট থেকে ১০ বিলিয়ন ইউরো খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছেন সরকারের মন্ত্রী অলিভিয়ে ডুসো। বেঞ্জামিন কুশি নামের এক ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলনকারী ম্যাক্রোঁর এসব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এগুলো অর্ধেক পদক্ষেপ। ম্যাক্রোঁর আরও অনেক কিছু দেয়ার আছে।

এদিকে বামপন্থি নেতা জ লুক মিনোশ জানিয়েছেন, আরও প্রতিবাদ হবে বলে ধারণা করছেন তিনি। ডানপন্থি রাজনীতিক এরিক ইভোর্থ এসব পদক্ষেপকে ‘স্বল্প-মেয়াদি’ সমাধান বলে অভিহিত করেছেন। চরম ডানপন্থি নেতা ম্যারিন লু পেন বলেছেন, ম্যাক্রোঁ তার কিছু ভুল স্বীকার করলেও সবগুলো করেননি। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর