১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১১:০৮

ব্রেক্সিট ইস্যুতে ভোট জানুয়ারিতে, অনাস্থা প্রস্তাব করবিনের

অনলাইন ডেস্ক

ব্রেক্সিট ইস্যুতে ভোট জানুয়ারিতে, অনাস্থা প্রস্তাব করবিনের

ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে মধ্য-জানুয়ারিতে পার্লামেন্টে ভোট হবে বলে ঘোষণা করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। পার্লামেন্টে এক ঘোষণায় তিনি বলেন, ১৪ জানুয়ারিতে শুরু হওয়া সপ্তাহেই এমপি’রা ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ভোটাভুটি করবেন।

‘একমাস অপচয়ের জন্যে’ প্রধানমন্ত্রী মে’র বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা জানান লেবার পার্টির নেতা করবিন। নতুন ব্রেক্সিট বিলে কোনো পরিবর্তনই নেই বলে দাবি করেন তিনি।

সোমবার পার্লামেন্টে করবিন বলেন, ভোটের জন্য এমপিদের পুরো একমাস অপেক্ষা করানোটা অগ্রহণযোগ্য। প্রধানমন্ত্রী তার এসব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যকে ‘জাতীয় সংকটে’র দিকে নিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তবে ব্রিটিশ সরকার নতুন করে অনাস্থা ভোটের জন্য সময় করতে পারবে না বলে সরকারি সূত্রে জানিয়েছে বিবিসি। মন্ত্রীরা বলছেন, এমন ‘অর্থহীন রাজনৈতিক খেলায়’ যোগ দেবেন না তারা।

এ ভোট গত সপ্তাহে হওয়ার কথা থাকলেও মে তা পিছিয়ে দিয়েছিলেন। ভোটাভুটিতে ব্রেক্সিট চুক্তিটি পাস না হওয়ার আশঙ্কার কারণেই মে ওই পদক্ষেপ নেন। এতে করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) পরিকল্পনা আরো অনিশ্চয়তায় পড়ে। এরপর মে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে আশঙ্কার জায়গাগুলো ইইউ’র কাছ থেকে আরো স্পষ্ট করে জানার চেষ্টা নেন।

এরপরই ফের ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করলেন তিনি। সেইসঙ্গে মে সবাইকে একথা বলেও আশ্বস্ত করেন যে, আইরিশ সীমান্ত নিয়ে যুক্তরাজ্যের যে আশঙ্কা ছিল তা ইইউ দূর করেছে।

কমন্সের এক বিবৃতিতে মে বলেন, পার্লামেন্টে ভোট হওয়ার আগে ৭ জানুয়ারি থেকে এমপি’রা ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে বিতর্ক শুরু করবেন। এরপরই পরবর্তী সপ্তাহে ভোট হবে।

যুক্তরাজ্যের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আর মাত্র ১৪ সপ্তাহের কিছু বেশি সময় বাকি। ফলে তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে পার্লামেন্টের অনেক সদস্যই চিন্তিত সেটি জানেন উল্লেখ করে মে বলেন, গত সপ্তাহে ইইউ সম্মেলনে গিয়ে তিনি ব্রেক্সিট চুক্তির বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে নতুন করে আশ্বাস এবং নিশ্চয়তা পেয়েছেন।

গত ১১ ডিসেম্বর নির্ধারিত ভোটের আগে আলোচনা ছাড়াই ভোট স্থগিত করলে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন মে। অন্যদিকে ৬০ এমপি প্রধানমন্ত্রী মে’র কাছে পাঠানো চিঠিতে ‘কোনো চুক্তি ছাড়াই’ ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার দাবি করেছেন।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর