২১ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৪:৫১
ভারতীর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্মকর্তার মন্তব্য

'ভারতের নাগরিকত্ব আইনে অল্প সংখ্যক বাংলাদেশিই উপকৃত হবেন'

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

'ভারতের নাগরিকত্ব আইনে অল্প সংখ্যক বাংলাদেশিই উপকৃত হবেন'

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল আইনে পরিণত হলেও এর মাধ্যমে খুব অল্প সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক লাভবান হবেন বলেন মন্তব্য করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তার দাবি ২০১৫ সালে থেকে দীর্ঘ মেয়াদি ভিসা ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত প্রতিবেশি বাংলাদেশের দুই শতাধিকেরও কম মানুষ এর সুবিধা নিয়েছেন। তাই খুব সংখ্যক মানুষই এই আইনের সুবিধা নিতে পারবেন।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে রবিবার দিল্লিতে ওই কর্মকর্তা বলেন, ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মাত্র ১৮৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দীর্ঘমেয়াদি ভিসা দিয়েছে। যেখানে ওই একই সময়ে পাকিস্তানের প্রায় ৩৫ হাজার নাগরিক এই দীর্ঘ মেয়াদি ভিসা গ্রহণ করেছেন। 
ওই কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘ মেয়াদি ভিসা পেতে যে সব শর্ত পূরণ করতে হয় এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশের পর ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতেও একই শর্ত পূরণ করে আবেদন করতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই প্রস্তাবিত এই নতুন আইনে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে খুব বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক আবেদন করবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।

একটি তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রদান করা ১৮৭ টি দীর্ঘ মেয়াদি ভিসার মধ্যে ২০১১ সালে ৪টি, ২০১২ সালে ২৭টি, ২০১৪ সালে ৭৪টি,  ২০১৫ সালে ২৬টি, ২০১৬ সালে ৫০টি, ২০১৭ সালে ৩টি এবং ২০১৮ সালে মাত্র ২টি এলটিভি দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে কোন বাংলাদেশি নাগরিককেই এলটিভি দেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে পাকিস্তানি নাগরিকদের ক্ষেত্রে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৪,৮৮৭ দীর্ঘ মেয়াদি ভিসা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজস্থানে ১৫১০৭ জন, গুজরাটে ১৫৬০ জন, মধ্যপ্রদেশে ১৪৪৪ জন, মহারাষ্ট্রে ৫৯৯, দিল্লিতে ৫৮১, ছত্তিশগড়ে ৩৪২, উত্তরপ্রদেশে ১০১ জন অবস্থান করছে।

উল্লেখ্য প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলটিতে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ-এই তিন রাষ্ট্র থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্শি ও খ্রিস্টান-এই ছয়টি সম্প্রদায়ের নাগরিকদের ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আসাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গত ৮ জানুয়ারি ভারতের লোকসভায় পাশ হয়েছে এই বিলটি। যদিও রাজ্যসভায় তা এখনও পাশ হয়নি। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর