২৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ১২:০৩

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দৈনিক গড়ে ১৬.৫টি মিথ্যা বলেন ট্রাম্প!

অনলাইন ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দৈনিক গড়ে ১৬.৫টি মিথ্যা বলেন ট্রাম্প!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ইতোমধ্যে দুই বছর পূর্ণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপরই চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেছে একটি মার্কিন সংবাদপত্র। তাদের দাবি, এই দুই বছর বা ৭৩০ দিনে ট্রাম্প ৮ হাজার ১৫৮টি মিথ্যা, ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করেছেন! যা দিনে গড়ে ১১টিরও বেশি! দ্বিতীয় বছরে সেই হার বেড়ে দৈনিক গড়ে ১৬.৫টি হয়েছে।

কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এমন লজ্জার নজির গড়েছেন কি না, বলা কঠিন। কিন্তু তাতে কোনও হেলদোল নেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের। উল্টো যত দিন গেছে, ট্রাম্পের ‘মিথ্যা বলার’ গতি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। 

ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্ষমতায় আসার প্রথম বছরে ট্রাম্প দৈনিক গড়ে ৫.৯টি করে মিথ্যা বলতেন। দ্বিতীয় বছরে সেই হার দৈনিক গড়ে ১৬.৫টি, প্রথম বছরের প্রায় তিনগুণ! ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত রিপোর্টে আমেরিকা তো বটেই, বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে গেছে। 

প্রতিবেদনের জন্য ট্রাম্পের প্রতিটি সন্দেহজনক বিবৃতি ও মন্তব্যের ক্ষেত্রে ‘ফ্যাক্ট চেকার্স’-এর তথ্যভাণ্ডার উল্লেখ করে দেখানো হয়েছে, সেটি ভুয়া বা মিথ্যা কি না। যার মোট সংখ্যা ৮ হাজার ১৫৮। তার মধ্যে দ্বিতীয় বছরেই ট্রাম্প এমন ছয়হাজারটি মিথ্যা বলেছেন।

প্রেসিডেন্ট পদে বসার প্রথম একশো দিনে কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ৪৯২টি মন্তব্য করেছিলেন। আর চলতি বছরের প্রথম কয়েক সপ্তাহেই তা টপকে গেছেন। সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রাক্কালে। সেই সময় সংখ্যাটি পৌঁছে গিয়েছিল ১২০০-য়। 

রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প সবচেয়ে বেশি মিথ্যা বলেছেন এবং তথ্য দিয়েছেন অভিবাসন ইস্যুতে। এ ক্ষেত্রে তার ‘কৃতিত্ব’ ১ হাজার ৪৩৩টি মিথ্যা বলার। দুই এবং তিন নম্বরে যথাক্রমে রয়েছে বিদেশ নীতি (৯০০) ও বাণিজ্য (৮৫৪) সংক্রান্ত তথ্য। অর্থনীতি (৭৯০) এবং কর্মসংস্থান (৭৫৫) রয়েছে চার ও পাঁচ নম্বরে। 

তবে ২০১৬-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত তদন্ত নিয়ে তার ভিত্তিহীন দাবি মাত্র ১৯২টি! ওয়াশিংটন পোস্টের ব্যাখ্যা, প্রেসিডেন্টের প্রথম একশো দিনেই মিথ্যা বলার নজিরের সঙ্গে তারা তাল মেলাতে পারছিল না। তাই এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল, যাতে হিসেব রাখা যায়। তবে ব্যতিক্রমও কি নেই?। তা-ও আছে। দু’বছরে ৮২ দিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোনো মিথ্যা বলেননি! কারণ, সে ক’দিন তিনি গল্‌ফ খেলতে ব্যস্ত ছিলেন।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর