২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০৯:৫১
খবর আনন্দবাজারের

জঙ্গি হামলার খবর পেয়েও শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন মোদি!

অনলাইন ডেস্ক

জঙ্গি হামলার খবর পেয়েও শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন মোদি!

সংগৃহীত ছবি

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় যখন ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছিলেন সিআরপি সেনারা, তখনও দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করবেট জঙ্গলে শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সেখানে একটি তথ্যচিত্রের শুটিং করা হচ্ছিল। এমন তথ্য ফাঁস করে কংগ্রেসের তরফ থেকে মোদিকে প্রশ্ন করা হয়েছে, আপনি কি বলিউডের চিত্রতারকা নাকি দেশের প্রধানমন্ত্রী?

কংগ্রেসের দেওয়া তথ্য মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিতে পারেনি বিজেপি। তবে তাদের অভিযোগ, এসব কথা বলে পাকিস্তানের হাতই শক্ত করা হচ্ছে।

গত ১৪ তারিখ পুলওয়ামায় বিস্ফোরণের দিন নৈনিতালের জিম করবেট জাতীয় উদ্যানে একটি বেসরকারি চ্যানেলের উদ্যোগে বাঘ নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্রের শুটিংয়ে গিয়েছিলেন মোদি। রাম নগরের স্থানীয় সংবাদপত্রগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর সেই সফরের প্রতি মিনিটের বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে। আর সেই বিবরণকে হাতিয়ার করেই মোদিকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস।

শুটিং শুরু হয়েছিল দুপুরে। বিকালের দিকে বিস্ফোরণের খবর আসার পরেও তা থামাননি মোদি। শুটিং চলেছে সন্ধ্যা পর্যন্ত। তার পর সরকারি অতিথিশালায় চায়ের আড্ডায় খোশগল্পে মেতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী।

সেই সূত্র ধরেই কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার অভিযোগ, ৩ টা ১০ মিনিটে সিআরপির কনভয়ে বিস্ফোরণ হয়। অথচ আপনি পৌঁনে সাতটা পর্যন্ত নৌবিহার, শুটিং চালিয়ে গেছেন। কর্মীদের সঙ্গে চা-পাকোড়ার আড্ডায় মেতেছিলেন। অথচ, পুরো দেশ তখন জওয়ানদের মৃত্যুতে খেতেও ভুলে গিয়েছিল।

সুরজেওয়ালা বলেন, বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পরেই প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল তার মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করা। তা না করে তিনি অতিথিশালার বাইরে জনতার অভিবাদন কুড়িয়েছেন। একজন প্রধানমন্ত্রীর এই কাজ সাজে? বিশেষ করে যখন তিন ঘণ্টা আগে বিস্ফোরণে ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে? তবে বিজেপির দাবি, আবহাওয়া খারাপ থাকায় সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি ফিরে আসতে পারেননি মোদি। তাই রাম নগর থেকেই বৈঠক করেছেন শীর্ষ মন্ত্রীদের সঙ্গে।

সূত্র: আনন্দবাজার

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর