২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৯:৫১

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, কাশ্মীরের বিরুদ্ধে নয় : মোদি

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, কাশ্মীরের বিরুদ্ধে নয় : মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, আমাদের লড়াই সন্ত্রাসবাদ ও মানবতার শত্রুদের বিরুদ্ধে। আমাদের লড়াই কাশ্মীরিদের কিংবা কাশ্মীরের বিরুদ্ধে নয়। 

পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে এক আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয় ৪০ জন জওয়ান। এ হামলার পর ভারত জুড়ে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। এমনকি কাশ্মীরের মুসলমানরা বিভিন্ন হামলা ও হুমকির শিকার হয়। 

এর প্রেক্ষিতেই শনিবার রাজস্থানের টঙ্ক-এ এক জনসভায় এসব কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। 

জনসভায় মোদি বলেন, ‘বিগত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের সাথে যা ঘটছে-তা ছোট বা বড় ঘটনা যাই হোক না কেন-তা হওয়া উচিত নয়। কাশ্মীরের যুবকরাও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে অতিষ্ঠ। তারাও এ লড়াইয়ে সামিল হতে চায়। তাদের সাথে নিতে হবে।’

টঙ্কের সমাবেশ থেকে জওয়ানদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার বার্তা দিয়ে মোদি বলেন, এবার পুরো হিসাব নেবো। আমি আমাদের সেনা জওয়ানদের নিয়ে গর্বিত। যে যারা তাদের সহকর্মীদের হত্যা করেছিল-সেই দেশদ্রোহীদের ১০০ ঘণ্টার মধ্যেই নিকেশ করতে পেরেছে।’ 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানকে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, ‘প্রোটোকল অনুযায়ী পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি তাকে (ইমরান) ফোন করে অভিনন্দন জানিয়ে ছিলাম। আমি তাকে বলেছিলাম যে আমরা অনেক লড়াই করেছি। এবার হাতে হাত মিলিয়ে দারিদ্রতা ও অশিক্ষা দূর করতে লড়াই করা উচিত। তিনি আমাকে কথা দিয়ে বলেছিলেন যে তিনি একজন ‘পাঠান’ পরিবারের সন্তান এবং তারা কখনও মিথ্যা কথা বলে না। যাই হোক, এখন নিজের কথা সত্যি প্রমাণ করার দায়িত্ব তার।’ 

কাশ্মীরের পুলওয়ামা হামলার পর ভারতের কয়েকজন রাজনীতিক যেভাবে সরব হয়েছে তারও বিরোধিতা করেন প্রধানমন্ত্রী। 

মোদি বলেন, ‘এই দেশে বসবাসকারী কিছু ব্যক্তি যেভাবে পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছেন তা আমাকে হতাশ করছে। এই মানুষগুলোই পাকিস্তানে গিয়ে বলেছিলেন ‘আপনারা যা কিছু করুন কিন্তু মোদিকে ক্ষমতা থেকে সরান।’ এই মানুষগুলোই মুম্বাই হামলার পর হামলাকারীদের কোনো জবাব দিতে পারেননি।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টা ১৫মিনিটের দিকে পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে এক আত্মঘাতী  হামলায় ৪০ জন জওয়ান নিহত হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে জইশ-ই-মোহাম্মদ। তিন দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এবারের হামলাকে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা বলা হচ্ছে।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর