১৯ মার্চ, ২০১৯ ১২:৫২

বিশ্বজুড়ে নির্বিচার গুলিবর্ষণে যত হত্যা

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে নির্বিচার গুলিবর্ষণে যত হত্যা

প্রতীকী ছবি

মাঝে মাঝেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যার খবর শোনা যায়। সবশেষ তা ঘটেছে নিউজিল্যাণ্ডে। ২০০৭ সাল থেকে এমন ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে।

১২ বছরে ৩০ হামলা

এক প্রতিবেদনে ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত নির্বিচার গুলিবর্ষণের ৩০টি বড় ঘটনা উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্স। এসব হামলায় বিশ্বজুড়ে ৮০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে

সবচেয়ে বেশি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে যুক্তরাষ্ট্রে। স্কুল, রেস্টুরেন্ট, চার্চ, এমনকি বাদ যায়নি ইমিগ্রেশন সেন্টারও। গত ১২ বছরে দেশটিতে ১৮ টি বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন মোট ৩৪৩ জন।

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা

যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুকধারীদের হামলার অন্যতম লক্ষ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ২০০৭ সালে ভার্জিনিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অ্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটিতেই বন্দুকধারী সবচেয়ে বেশি ৩২ জনকে হত্যা করে।

নাইটক্লাব থেকে সংগীত উৎসব

১ অক্টোবর, ২০১৭। লাস ভেগাসে চলছিল সংগীত উৎসব৷ ৬৪ বছর বয়সি এক বন্দুকধারী পাশের হোটেলের ৩২ তলা থেকে শুরু করেন নির্বিচার গুলিবর্ষণ। ৫৮ জনের প্রাণ নিয়ে নিজেকেও হত্যা করেন এই প্রবীণ। এর আগে ১২ জুন, ২০১৬ সালে ফ্লোরিডার সমকামীদের একটি নাইটক্লাবে হামলার ঘটনায় ৪৯ জন নিহত হয়।

বাদ যায়নি মসজিদও

জুম্মার নামাজ আদায়ের সময়ে দুটি মসজিদের মুসল্লিদের উপর গুলিবর্ষণে নিহত হন ৫০ জন, আহত ৪০ জন। গত ১৫ মার্চের এই ঘটনা নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড।

চার্চে হামলা

২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর রোববারের প্রার্থনা চলছিল তখন। বন্দুকধারী সেসময় টেক্সাসের ফাস্ট ব্যাপটিস্ট চার্চে হামলা চালায়। এতে ২৬ জন প্রাণ হারান। বন্দুকধারী ক্ষান্ত হন নিজেকে গুলি করে।

রক্তাক্ত ফ্রান্স 

১২৯ জনের মৃত্যু হয় ফ্রান্সে ১৪ নভেম্বর, ২০১৫ সালের হামলায়। একাধিক হামলাকারী গোটা প্যারিসজুড়ে সংঘবদ্ধ আক্রমণ চালায়। তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট এর দায় স্বীকার করে।

হামলার শিকার বুরকিনা ফাসো

একাধিক বন্দুকধারী এই হামলাটি চালায় বুরকিনা ফাসোর একটি রেস্টুরেন্টে। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারির ঘটনাটিতে ২৯ জন মারা যান।

তিউনিসিয়ায় দুই দফা

২৫ জুন ২০১৫ সালে ছাতায় লুকিয়ে বন্দুকসহ তিউনিসিয়ার একটি হোটেলে ঢুকে বিভিন্ন দেশের ৩৯ জনকে হত্যা করেন এক ব্যক্তি। একই বছরের মার্চে সামরিক বাহিনীর পোশাকে দেশটির জাতীয় জাদুঘরে প্রবেশ করে ২২ জনকে হত্যা করেন আরেক বন্দুকধারী। দুটি ঘটনারই দায় স্বীকার করে তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট।

কেনিয়ার শপিং মলে হামলা

কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির একটি শপিং মলে ৬৭ জনকে হত্যা করে বন্দুকধারী। ২০১৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বরের এই ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্টের স্বজনও মারা যান।

নরওয়ের ইয়ুথ ক্যাম্পে হামলা

নরওয়ে। ২২ জুলাই, ২০১১ সাল। চলছিল দেশটির ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির ইয়ুথ সামার ক্যাম্প। পুলিশের পোশাক পরে বন্দুকধারী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সেখানে ৬৯ জনকে হত্যা করে।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর