শিরোনাম
২০ মার্চ, ২০১৯ ১১:৫৫

পরবর্তী উত্তরসূরি ভারত থেকে, চীনকে দালাই লামার চ্যালেঞ্জ

অনলাইন ডেস্ক

পরবর্তী উত্তরসূরি ভারত থেকে, চীনকে দালাই লামার চ্যালেঞ্জ

উত্তরসূরি নির্বাচন প্রসঙ্গে সরাসরি চীনকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামা।

মঙ্গলবার তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তার উত্তরসূরি আসবেন ভারত থেকেই, চীন থেকে নয়। চীন কাউকে পরবর্তী দলাই লামা হিসেবে বেছে নিলে তিব্বতিরা এবং বিশ্বের বৌদ্ধ সম্প্রদায় তাকে কিছুতেই মেনে নেবেন না।

দলাই লামার এই ঘোষণার পর স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে চীনের। প্রকাশ্যে কিছু না বললেও বেইজিং যে তিব্বত নিয়ে চাপে রয়েছে তা তাদের সাম্প্রতিক অবস্থান থেকেই স্পষ্ট। কারণ নিজেদের তাঁবেদার নাবালক বা অনুগত কোনও বৌদ্ধ ভিক্ষুকে দলাই লামার উত্তরসূরি দাঁড় করাতে চীন মরিয়া। এর ফলে ‘পুতুল ধর্মগুরু’ মাথার উপর বসিয়ে তিব্বতিদের উপর এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর সব রকমভাবে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চায় চীন। এটা কিছুতেই হতে দিতে চান না দলাই লামা। কারণ তাঁবেদার ধর্মগুরু মাথার উপর বসিয়ে কমিউনিস্ট চীন তিব্বতিদের ও বৌদ্ধদের উপর নিরঙ্কুশ প্রাধান্য বজায় রাখতে চায়।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোমবার এ ব্যাপারে স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ৬০ বছর আগে ভারতে আশ্রয় নেওয়া চতুর্দশ দলাই লামা।

চীনের লালফৌজের হাত থেকে বাঁচতে লাসা থেকে সেনার ছদ্মবেশে সে দিন বেরিয়ে পড়েছিলেন তিনি। দু’দিন দু’রাত পায়ে হেঁটে, ব্রহ্মপুত্র নদ পেরিয়ে, দুর্গম হিমালয়ের বাধা টপকে দলাই ভারতে পৌঁছেছিলেন ১৯৫৯ সালের ১৭ মার্চ। চীন-অধিকৃত তিব্বত ছেড়ে পালিয়ে আসা দলাই লামা, তার পরিবার স্বজন ও অনুগামীদের ভারত আশ্রয় দিয়েছিল হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায়।

সেই ধর্মশালায় গাছে ভরা ছোট ছোট পাহাড় আর তুষারে ঢাকা সুউচ্চ পর্বতে ঘেরা বৌদ্ধ মন্দিরের পাশে তার অফিসে বসে নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী চতুর্দশ লামা বলেছেন, “সে দিন চীন তিব্বতিদের ভাষা আর সংস্কৃতির স্বাধীনতার দাবি মেনে নেয়নি। আমাদের দমিয়ে দিতে লালফৌজ নামিয়ে রক্তের নদী বইয়ে দিয়েছিল তিব্বতে। আজও বেইজিং আমার মৃত্যুর পর তাদের পছন্দের দলাই লামা বেছে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাতে চীনেরই উদ্বেগ বাড়বে। তিব্বতিরা সেই লামাকে মেনে নেবেন না।”

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর