বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এক শতাংশ তাদের ভাগ্য গত এক দশকে মোট ৪২ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়িয়েছে। অতি ধনী ব্যক্তিদের উপর করারোপ করার প্রধান আলোচ্যসূচি নিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে অক্সফাম।
ব্রাজিলে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানাল অক্সফাম।
এই বিপর্যয়কর বৈষম্য সত্ত্বেও, ধনীদের উপর কর ‘ইতিহাসের সবচেয়ে নিম্ন’ পর্যায়ে নেমে গেছে উল্লেখ করে এই এনজিওটি বাকি বিশ্বের সাথে ‘অশ্লীল মাত্রার’ বৈষম্যেও চরম পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করেছে।’
বিশ্বের জিডিপি’র ৮০ শতাংশ প্রতিনিধিত্বকারী দেশগুলোর গ্রুপ জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি ব্রাজিল অতি-ধনীদের কর আরোপের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
রিও ডি জেনিরোতে এই সপ্তাহের শীর্ষ সম্মেলনে গ্রুপের অর্থমন্ত্রীরা অতি-ধনী ব্যক্তিদের উপর শুল্ক বাড়াতে এবং বিলিয়নিয়ারদের ট্যাক্স সিস্টেম ফাঁকি দেওয়া রোধকল্পে উপায়গুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এই উদ্যোগে কোটিপতি এবং অন্যান্য উচ্চ-আয়ের উপার্জনকারীদের কর পদ্ধতি নির্ধারণ জড়িত।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার শীর্ষ সম্মেলনে প্রস্তাবটি নিয়ে তীব্র বিতর্ক হওয়ার কথা। ফ্রান্স, স্পেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, কলম্বিয়া এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন প্রস্তাবের পক্ষে কিন্তু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে বিপক্ষে।
অক্সফাম এটিকে ‘জি-২০ সরকারের জন্য সত্যিকারের লিটমাস পরীক্ষা (সিদ্ধান্ত ও মতামত)’ বলে অভিহিত করেছে। তাদের অতি-ধনীদের ‘চরম সম্পদ’ এর উপর কমপক্ষে আট শতাংশের বার্ষিক নেট সম্পদ কর কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছে।
অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের বৈষম্য নীতির প্রধান ম্যাক্স লসন বলেছেন, ‘অতি ধনীদের উপর কর বৃদ্ধির গতি অনস্বীকার্য।’
অক্সফাম বলেছে, ৪২ ট্রিলিয়ন ডলার সংখ্যা বিশ্বের জনসংখ্যার দরিদ্র অর্ধেক সঞ্চিত সম্পদের প্রায় ৩৬ গুণ বেশি।
এনজিওটি বলেছে, তা সত্ত্বেও, বিশ্বজুড়ে বিলিয়নিয়াররা ‘তাদের সম্পদের ০.৫ শতাংশেরও কম সমতুল্য কর প্রদান করছেন।
সূত্র : বাসস ও অক্সফাম।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত