ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে রাজধানী তেহরানে হত্যা করা হয়েছে বলে ইরানের আধাসামরিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনী জানিয়েছে।
হামাসও এই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি। ইসরায়েলি বাহিনী গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে এবং হামাসের নেতাদের হত্যার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
ইসমাইল হানিয়াহ, জন্ম ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ছিলেন। ১৯৮৯ সালে ইসরায়েল তাকে বন্দি করে এবং পরে লেবাননের নো-ম্যানস-ল্যান্ডে নির্বাসিত করে। গাজায় ফিরে এসে তিনি হামাসের আধ্যাত্মিক নেতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের অফিসের প্রধান হন।
২০০৬ সালে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নির্বাচনে হামাস বিজয়ী হলে হানিয়া প্রধানমন্ত্রী হন। তবে ফাতাহ ও হামাসের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সরকার ভেঙে দেন। হানিয়া গাজা থেকে শাসন চালিয়ে যান, আর ফাতাহ পশ্চিম তীরের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হানিয়া হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান হিসেবে কাতারে বসবাস করতেন এবং তাকে হামাসের সামগ্রিক নেতা হিসেবে দেখা হতো। চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে তার তিন ছেলেও ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন।
বিপ্লবী গার্ড বাহিনী তার হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে এবং হামাসও ইসরায়েলকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে ইরান ও হামাসের মধ্যে সম্পর্ক আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল