দিল্লিতে প্রবল বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে এক ঘণ্টায় ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। প্রগতি ময়দানের কাছে বৃষ্টি হয়েছে ১১২ মিলিমিটারেরও বেশি। এই বৃষ্টিতে বেহাল হয়ে পড়ে রাজধানী। বহু রাস্তায় পানি জমে যায়। বিশাল ট্রাফিক জ্যাম হয়। গভীর রাত পর্যন্ত যানজট চলে। দিল্লিজুড়ে অনেক রাস্তাই জলের তলায় চলে যায়।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, দিল্লির গাজিপুরে তনুজা ও তার তিন বছরের ছেলে প্রিয়াংশ জলে ডোবা রাস্তায় নালার মধ্যে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। মোট ১০টি বিমানকে ঝড়-বৃষ্টির সময় নামতে দেওয়া হয়নি। আটটি বিমানকে জয়পুর ও দুইটি বিমানকে লাখনৌ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে, বৃহস্পতিবারও প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্কুল-কলেজও বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দিল্লিতে বৃহস্পতিবার ঝড়-বৃষ্টি হবে। খুব দরকার না থাকলে মানুষকে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টি চলবে। বৃহস্পতিবার দিল্লির সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী অতিশি জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলে সরকারি ও বেসরকারি সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশটির হিমাচল প্রদেশের রামপুরে ক্লাউড বার্স্ট বা মেঘফাটা বৃষ্টির পর প্রবল বন্যায় ২০ জন নিখোঁজ হয়েছে। এলাকায় রাস্তাঘাট ভেসে গেছে। বিপর্যয় মোকাবিলার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অপরদিকে উত্তরাখণ্ডের তেহরিতে ক্লাউড বার্স্ট হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনজন নিখোঁজ রয়েছে। এ ছাড়া হরিদ্বারে বৃষ্টির ফলে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ