হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার ফুয়াদ শুকর ওরফে মুহসিন বৈরুতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে বৈরুতের দক্ষিণ অংশে ফুয়াদ শুকরের নামাজে জানাজার শোভাযাত্রা শুরু হবে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ফুয়াদ শুকরের পরিবার এবং হিজবুল্লাহ সদস্যরা জানাজায় অংশ নেবেন এবং শোকবার্তা গ্রহণ করবেন।
জানাজার পর একটি বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরাল্লাহ বক্তব্য দেবেন।
ফুয়াদ শুকর ছিলেন হিজবুল্লাহর প্রতিষ্ঠাতা প্রজন্মের অন্যতম প্রধান নেতা। তিনি ১৯৮০-এর দশকে ইসরায়েলি আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন এবং ১৯৮২ সালে আহত হয়েছিলেন। অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে তিনি গাজার পক্ষে সমর্থন প্রদানে সক্রিয় ছিলেন। তার মৃত্যু হিজবুল্লাহর জন্য একটি বড় ক্ষতি, তবে তার জানাজায় ব্যাপক সমর্থন থাকবে।
হিজবুল্লাহ ঘোষণা করেছে, নাসরাল্লাহ তার বক্তৃতায় দলের রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরবেন। পূর্ববর্তী মন্তব্যে, নাসরাল্লাহ ইসরায়েলকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, যদি তারা লেবাননে আক্রমণ করে, তাহলে হিজবুল্লাহ প্রতিশোধ নেবে। বিশেষ করে, নাসরাল্লাহ বলেছেন, যদি ইসরায়েল লেবাননের শহরগুলিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করে, তাহলে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের শহরগুলিকে আক্রমণ করবে। একইভাবে, যদি ইসরায়েল লেবাননের গ্রামগুলিকে আক্রমণ করে, তাহলে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বসতিগুলিকে আক্রমণ করবে।
সবাই অপেক্ষায় থাকবে নাসরাল্লাহর বক্তব্যে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায় কিনা। তার বক্তব্য এই সংঘাতের পরবর্তী ধাপের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। সূত্র : আল জাজিরা
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল