ইরানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার মহাসচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
চিঠিতে বাঘেরি পুনরায় উল্লেখ করেছেন, ইরান তার জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যেকোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
আলি বাঘেরি কানি বলেন, ‘এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ইসরায়েলের কয়েক দশকের দীর্ঘ সন্ত্রাস এবং নাশকতার নিদর্শনের একটি আরেকটি উদাহরণ। ইসরায়েলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ফিলিস্তিন এবং ফিলিস্তিনি আন্দোলনের সমর্থক ও সহানুভূতিশীলদের লক্ষ্য করে করা হয়েছে।’
হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া বুধবার ভোরে ইরানের রাজধানীতে তার অবস্থানরত বাসভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন। ইরান এবং হামাস উভয়ই এর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। তবে ইসরায়েল এই হামলার দায় স্বীকার বা অস্বীকার করেনি।
ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশের পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, তেহরানে হানিয়ার শহীদ হওয়া তেহরান, ফিলিস্তিন এবং প্রতিরোধ আন্দোলনের মধ্যে গভীর এবং অবিচ্ছেদ্য বন্ধনকে শক্তিশালী করবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল