কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিকোলাস সারওয়ে একটি ইমেইল পেয়ে স্তম্ভিত হয়ে যান। তার বিরুদ্ধে ১.৫ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের ($১.০৯ মিলিয়ন) মামলার কথা জানানো হয়। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন এটা কোনো টাইপো ( টাইপ করার সময়ে ঘটিত একটি ভুল) হতে পারে, কিন্তু পরে বুঝতে পারেন এটি সত্যি।
সারওয়ে এবং তার কয়েকজন সহপাঠী গত কয়েক মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছিলেন।
জুন মাসের শেষের দিকে বিক্ষোভের প্রকাশ্য মনোযোগ কমে যায় এবং অনেক শিক্ষার্থী গ্রীষ্মের জন্য বাড়ি ফিরে যান। তখনই সারওয়ে একটি ইমেইল পান। মেইলে তাকে এবং আরও ছয়জন শিক্ষার্থীকে সম্পত্তির ক্ষতি, অনুপ্রবেশ এবং ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
সারওয়ে এ ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি হুমকি ও নিপীড়নের প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেন।
এই বিক্ষোভটি মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয়েছিল। বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও একাডেমিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছিলেন। তবে জুন মাসের শেষে, বিক্ষোভের পরিবেশ শান্ত হয়ে আসে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এই মামলা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তাদের সম্পর্কের স্থায়ী পরিবর্তন সৃষ্টি করেছে। সারওয়ে এবং অন্যান্য শিক্ষার্থী বলেন, তারা এখনও তাদের ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে তাদের দাবিগুলি অব্যাহত রাখবেন। সারওয়ে বলেন, ‘আমি তাদের ভয় পাই না। আমি মনে করি আমাদের কেউই ভয় পায় না।’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই মামলার উদ্দেশ্য হিসেবে বিক্ষোভ শেষ করার কথা বললেও শিক্ষার্থীরা এটিকে তাদের দমন করার একটি কৌশল হিসেবে দেখছেন। তবুও, এই আন্দোলন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি শক্তিশালী সংহতির অনুভূতি সৃষ্টি করেছে। সূত্র : আল জাজিরা
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল