ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া হয়েছে।
দলটি শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে তারা নতুন নেতা নির্বাচনের জন্য ব্যাপকভিত্তিক পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ইসমাইল হানিয়া কেবল ফিলিস্তিনি জনগণের নয়, বরং একইসাথে আরব এবং ইসলামি দেশগুলোর জন্যও ক্ষতি।”
হামাস জোর দিয়ে বলেছে, হানিয়াকে হত্যার ফলে আন্দোলনের শক্তিই কেবল বাড়বে। আর তারা তাদের পথে চলা অব্যাহত রাখবে, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে তাদের প্রয়াস আরও তীব্র হবে।
হামাস জানায়, “আমরা আমাদের জনগণ এবং আমাদের জাতিকে আশ্বস্ত করছি যে আন্দোলনের প্রতিষ্ঠানগুলো সক্রিয় থাকবে এবং প্রতিরোধের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।”
হামাস আরও প্রতিশ্রুতি দেয়, নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই তা ঘোষণা করা হবে।
সম্প্রতি ইরানের রাজধানী তেহরানে একটি গুপ্ত হামলায় ইসমাইল হানিয়া নিহত হন। ইরান এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। তবে ইসরাইল এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকা দাবি করেছে, হানিয়াকে হত্যার জন্য দুই মাস আগে তেহরানের ওই ভবনে অত্যাধুনিক বোমা স্থাপন করা হয়েছিল। আর ইরানি এজেন্টদের ভাড়া করেই কাজটি করা হয়েছিল।
তবে ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড জানিয়েছে, তেহরানে যেখানে হানিয়া অবস্থান করছিলেন, সেখানে স্বল্প পাল্লার প্রজেক্টাইল দিয়ে আঘাত হানা হয়েছিল।
গার্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সাত কেজির একটি গোলা নিক্ষেপ করে হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স, আল আরাবিয়া
বিডি প্রতিদিন/একেএ