ভারী বৃষ্টিতে ভারতের ত্রিপুরার বিস্তীর্ণ অঞ্চলও তলিয়ে গেছে। তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি হিসাবে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। বন্যা দুর্গতদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের এক জওয়ান। বন্যা কবলিত এলাকা থেকে দুর্গতদের উদ্ধারের জন্য নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
সরকারি হিসাবে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ত্রিপুরার বন্যায়। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ১৭ লাখ মানুষ। বিভিন্ন মহাসড়ক, চাষের জমি কার্যত জলের তলায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রচুর ঘরবাড়ি। ১৯ অগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত ৫৫৮টি ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। সেগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১ লাখ ২৮ হাজার মানুষ।
যদিও গত দু’দিনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। গোমাতী নদী-সহ অন্য নদীগুলির জলস্তরও বিপদসীমার নীচে নামতে শুরু করেছে। তবে ত্রিপুরার অনেকগুলি জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে শনিবারও। গত কয়েক দিনের বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত কিছু না জানানো হলেও, প্রাথমিক ভাবে অনুমান প্রায় পাঁচ হাজার কোটি রুপির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতির কারণে বৃহস্পতিবার থেকে ত্রিপুরার সব সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার বেশ কিছু জায়গায় বাজারে জিনিসপত্রের দাম লাগামছাড়া হতে শুরু করেছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল