ইয়েমেন ফিলিস্তিনি জনগণ এবং অন্যান্য আঞ্চলিক দেশগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান নৃশংসতার আরও জোরালো জবাব দিতে প্রস্তুত ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধারা। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের গভীরে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুতে আরও আক্রমণ চালাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইয়েমেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মেজর জেনারেল মোহাম্মদ নাসের আল-আতিফি রবিবার বলেছেন, ‘ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী, তাদের সর্বশক্তি নিয়ে ইসরায়েলের গভীরে বেদনাদায়ক হামলা চালানোর সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।"
এই ইয়েমেনি নেতা আরও বলেন, ‘সামরিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াটি সবদিক অধ্যয়ন ও গবেষণা করে হচ্ছে। ইসরায়েলের দুর্বলতাগুলো যত্ন সহকারে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।... ইসরায়েলের ব্যাঙ্কের মতো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো গভীর তথ্যগত এবং বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বিশ্লেষণ সাপেক্ষে সাবধানে এবং সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।’
৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজার বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরু করে। তখন থেকেই ইয়েমেনি হুথি যোদ্ধারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অসংখ্য হামলা চালাচ্ছে।
হুথি যোদ্ধারা ইসরায়েলি জাহাজ ও জলযানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। ফলে ইসরায়েলের পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়েছে। বাহিনীর প্রস্তুতির বিষয়টি নিশ্চিত করে আল-আতিফি বলেন, ‘তাদের কাছে সঠিক ও সুনির্দিষ্ট হামলা চালানোর ক্ষমতা ও উপায় রয়েছে।"
তিনি ইয়েমেনি বাহিনী এবং প্রতিরোধের আঞ্চলিক অক্ষের অন্যান্য গোষ্ঠীর প্রবীণ প্রতিরোধ ব্যক্তিত্বদের হত্যার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে যে প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছেন। ইরানের রাজধানী তেহরানে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সাবেক রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রতিরোধ আন্দোলনের শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শোকর ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার কড়া প্রতিশোধ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওই অঞ্চলের ইরান সমর্থিত প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো।
হুথির প্রধান নেতা আবদুল মালিক আল-হুথির বরাতে আতিফি বলেছেন, "আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করছি যে জিহাদ এবং প্রতিরোধের অক্ষ থেকে ইহুদিবাদী শত্রুর অপরাধের প্রতিক্রিয়া আসন্ন এবং অনিবার্য, এবং এটি হবে একটি কৌশলগত এবং সিদ্ধান্তমূলক প্রতিক্রিয়া।"
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল