যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ১৪.৩ শতাংশ হলেন অভিবাসীরা। বিদেশীদের সংখ্যা বৃদ্ধির এ হার গত কয়েক বছর থেকেই পরিলক্ষিত হচ্ছে।
জনসংখ্যা পরিসংখ্যান ব্যুরো (সেনসাস ব্যুরো) জানায়, গত বছরের জুলাই মাসে অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৪৭.৮৩ মিলিয়ন (৪ কোটি ৭৮ লাখ ৩০ হাজার)। আগের বছরের জুলাইয়ের তুলনায় সাড়ে ১৬ লাখ বেশী। আমেরিকান কম্যুনিটি সার্ভের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজ’ শনিবার আরো জানিয়েছে, গত বছরের সংখ্যাটি হচ্ছে এ যাবতকালের সবচেয়ে বেশী। বৈধ এবং কাগজপত্রহীন অভিবাসীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যায় এতবেশী কখনোই ছিল না। এ বছরের মার্চে বিদেশে জন্মগ্রহণকারি (অভিবাসী)র সংখ্যা ছিল ৫১.২৬ মিলিয়ন তথা ৫ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার। আগের বছরের মার্চের তুলনায় তা ২৪ লাখ ৮০ হাজার জন বেশী। আর এটি হচ্ছে মোট জনসংখ্যার ১৫.৫%।
‘সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজ’র পরিচালক স্টিভেন ক্যামেরোটা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশে জন্মগ্রহণকারি মানুষের সংখ্যা অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়েই চলছে। এর মধ্যে ২০২২ সালের জুলাই থেকে গত বছরের জুলাই মাসে ল্যাটিন আমেরিকার সংখ্যা বেড়েছে ১২ লাখ ৫০ হাজার তথা ৭৬%।
করোনা মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সাল থেকে অভিবাসন ভিসা ইস্যুতে মন্থর গতি ২০২৩ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকলেও দক্ষিণের সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিনই হাজার হাজার বিদেশী ঢুকে পড়ায় অভিবাসনের সংখ্যা আমেরিকায় উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। এছাড়া, ২০২৩ অর্থ বছর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্যুরিস্ট ভিসা ইস্যু করেছে এক কোটি ৪ লাখ। ২০১৯ সালে এ ধরনের ভিসা ইস্যু হয়েছিল ৮৭ লাখ। ২০২২ অর্থ বছর গ্রীণকার্ডের পথ বেয়ে ৯ লাখ ৬৯ হাজার অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেন হয়েছেন। ২০০৮ সালের পর এতবেশী সিটিজেনশিপ গ্রহণের ঘটনা আর কোন বছর ঘটেনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল