দেড় মাস বাদেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৬০তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৪। নির্বাচন সামনে রেখে এখন ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস। তারা দুজনই ব্যস্ত নিজেকে ও যার যার দলকে এগিয়ে রাখার ভোট যুদ্ধে। তবে এখন পর্যন্ত জনমত জরিপে দুই প্রার্থীই একই জায়গায় আটকে আছেন, উভয়ের চলতি অবস্থা ৫০-৫০। বলা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে ভালো করলেও কমলা হ্যারিস ভোটারদের ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারেননি।
নিউইয়র্ক টাইমস, ফিলাডেলফিয়া ইনকোয়ারার ও সিয়েনা কলেজের জরিপে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট দলের এই প্রার্থী। এখন পর্যন্ত তিনি দেশজুড়ে রিপাবলিকান প্রার্থীর বিপরীতে নিষ্পত্তিমূলক সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে ভোটে প্রতিটি অঞ্চলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
জরিপে ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত পেনসিলভানিয়ায় চার শতাংশ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছেন কমলা। গত আগস্টের শুরু থেকেই তিনি ট্রাম্পের এই সামান্য পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছেন। মূলত তিনি বেশিরভাগ মূল গণতান্ত্রিক জোটকে পুনরায় একত্রিত করেছেন এবং কৃষ্ণাজ্ঞ, তরুণ ও নারী ভোটারদের সমর্থন জিতেছেন। তবে দেশজুড়ে কমলা ও ট্রাম্প সমান ৪৭ শতাংশ পয়েন্টে আটকে রয়েছেন।
বিতর্কে ভালো করলেও কমলার এখনও বেশকিছু দুর্ভলতা রয়ে গেছে। জরিপে ভোটারদের একটি অংশ বলেছেন, তারা এখনও কমলা সম্পর্কে আরও জানতে চান। বিতর্কের আগে ও পরে এ হার প্রায় অভিন্ন ছিল। অর্থাৎ তিনি সন্দেহ দূর করার বা জনসাধারণের কাছে আরও বিস্তারিত সরবরাহ করার সুযোগটি হারিয়েছেন।
মিশিগান অঙ্গরাজ্যের গ্র্যান্ড হ্যাভেন শহরতলিতে বাস করা টেইলার স্লাবগ নামের এক তরুণ বলেন, আমি দেখতে চেয়েছিলাম, বিতর্কে কমলা হ্যারিস কীভাবে প্রশ্নের উত্তর দেবে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে, তিনি এক ধরনের বিচ্যুত হয়েছিলেন। আমি সত্যিই তার পরিকল্পনা সম্পর্কে ভালো ধারণা পাইনি।
আবার ভোটারদের মধ্যে অর্থনীতির অবস্থা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। পেনসিলভেনিয়ায় ৭৭ শতাংশ ভোটার বলেছেন, অর্থনীতি খারাপ বা স্থিতিশীল ছিল। মাত্র ২২ শতাংশ এটিকে চমৎকার বা ভালো বলে অভিহিত করেছেন। এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ফিলাডেলফিয়া এবং এর আশেপাশের শহরতলির ভোটারদের মধ্যেও রয়েছে।
ট্রাম্পেরও বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। শহরতলির কলেজ-শিক্ষিত শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের মধ্যে তার সমর্থন দেশজুড়ে ও পেনসিলভানিয়া উভয় ক্ষেত্রেই ৩৬ শতাংশে নেমে গেছে। যেখানে ২০২০ সালে তিনি এই গোষ্ঠীর ৪২ শতাংশ সমর্থন জিতেছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/শআ