লেবাননের রাজধানী বৈরুতের একটি আবাসিক এলাকায় গত শুক্রবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ দুই সামরিক কমান্ডারসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা নিহত হন। এই ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে।
হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- নিহতদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইব্রাহিম আকিল, যিনি সংগঠনের এলিট ‘রাদওয়ান’ বাহিনীর একজন শীর্ষ কমান্ডার। এছাড়াও একই বাহিনীর আরেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা আহমেদ ওয়াহবিও এ হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। হামলাটি ঘটে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বৈরুতের ঘনবসতিপূর্ণ দাহিয়াহ এলাকায়।
জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা রোজমেরি ডিকারলো সতর্ক করে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য এখন এমন এক সংঘাতের মুখোমুখি, যা এখন পর্যন্ত দেখা যাওয়া সব ধ্বংসযজ্ঞকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত শুক্রবারের এই হামলা হিজবুল্লাহর জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা, যা বৈরুতে জুলাইয়ের পর প্রথম বিমান হামলা। জুলাই মাসে হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহর ডানহাত হিসেবে পরিচিত ফুয়াদ শুকর নিহত হয়েছিলেন।
এই হামলা এমন সময়ে ঘটলো, যখন কিছুদিন আগে হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত পেজার এবং ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে বহু মানুষের মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে, যা দেশটিজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে চলমান সংঘাতে ক্লান্ত দেশটির জন্য এটি ছিল আরেকটি বড় আঘাত।
যদিও ইসরায়েল সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি, তবে এই হামলার জন্য তাদেরই দায়ী করা হচ্ছে। বৈরুতে হামলার পর ঘটনাস্থলে জরুরি উদ্ধারকর্মীরা আহতদের উদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন শিশু ও সাতজন নারীও রয়েছেন। এছাড়া বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
সূত্র- বিবিসি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ