রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের জয় দেখতে চান। এই নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
পেনসিলভানিয়ায় এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের চেষ্টা করবেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি জেলেনস্কি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিক্রেতা। প্রতিবারই তিনি এখানে এসে ৬০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে চলে যান। তিনি চান যে তারা এই নির্বাচন জিতুক, তবে আমি অন্যভাবে কাজ করব – আমি শান্তি আনব।’
হ্যারিসের প্রচার শিবির তাৎক্ষণিকভাবে ট্রাম্পের মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। একইদিকে ট্রাম্প তার শান্তি পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করেননি। বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্প ও হ্যারিসের মধ্যে একটি হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে।
এদিকে, জেলেনস্কি রবিবার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি তার মিত্রদের কাছে ‘ন্যায়বিচারপূর্ণ শান্তির’ জন্য সহায়তা চেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে বহু বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্রদান করেছে এবং মস্কোর বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে ট্রাম্প এই সাহায্যকে অর্থের অপচয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং কখনোই প্রকাশ্যে বলেননি যে তিনি ইউক্রেনের বিজয় চান।
রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ মাত্রার আক্রমণে ইউক্রেনের হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি, লক্ষ লক্ষ মানুষের বাস্তুহারা হওয়া এবং শহরগুলোর ধ্বংসের কারণ হয়েছে। পুতিনের মতে, কিয়েভ যদি পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের অংশগুলো ছেড়ে দেয় এবং ন্যাটোতে যোগদানের প্রচেষ্টা পরিত্যাগ করে, তবে শান্তি আলোচনা শুরু হতে পারে। জেলেনস্কি বারবার রুশ বাহিনী প্রত্যাহার এবং ইউক্রেনের পোস্ট-সোভিয়েত সীমান্ত পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।
পশ্চিমা বিশ্ব মনে করে, রাশিয়া একটি সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে পুতিন ইউক্রেন আক্রমণকে প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে চিত্রিত করেছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল