কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ১৫০ বছরের পুরনো ট্রাম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার।
শহরে ট্রাম পরিষেবা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা চলছে। এরই জের ধরে কলকাতার রাস্তায় এই ট্রাম সেবা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে থেকে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর এমন ঘোষণার পর কলকাতার ট্রাম প্রেমীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, আমরা এটা হতে দেব না। রাজ্য সরকার যদি যানজট নিরসনে আন্তরিক হয়, তাহলে তারা রাস্তা সংস্কার করতে পারে।
এছাড়া বিভিন্ন সংগঠন ট্রাম বাঁচাতে ইতোমধ্যে হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। তারা সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ট্রাম নিয়ে চলা ওই মামলার রিটে গত বছরই আদালত নির্দেশ দেন কলকাতায় ট্রাম বন্ধ করা যাবে না। বরং এটি সংস্কার করে চালু রাখতে হবে। এ বছর আদালতে চলা এই রিটের নতুন শুনানিতে ট্রাফিক জ্যামের বিষয় এবং একটি রুটে ট্রাম চলাচল চালু রাখার বিষয়টি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ট্রাফিক জ্যামের কারণে মানুষের যাতে অফিস যেতে দেরি না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য, আমাদের ট্রাম বন্ধ করাসহ বেশ কিছু কঠিন ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের জন্য ট্রাম চলবে।
উল্লেখ্য, ১৮৭৩ সালে কলকাতায় প্রথম ট্রাম চালু হয়। ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কলকাতার বাসিন্দারা ট্রামে চলাচল করছেন। এটাকে কলকাতা শহরের হেরিটেজও বলা হয়। কলকাতা ভ্রমণে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছেও ব্যাপক আকর্ষণের বিষয় এই ট্রাম। তবে কলকাতার ট্রামের পরিধি আগেই কমে এসেছে। এক সময়ের জনপ্রিয় এ বাহনটি এখন ধুঁকে ধুঁকে চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনটি রুটে ট্রাম চলাচল অব্যাহত ছিল। যদি সরকারি সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় তাহলে শুধুমাত্র একটি রুটেই দেখা যাবে ঐতিহ্যবাহী বাহনটিকে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, এই সময়, আজ তক, এবিপি নিউজ
বিডি প্রতিদিন/একেএ