জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের ওপর ইসরায়েলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির পর নিরাপত্তা পরিষদ তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই সমর্থন জানানো হয়।
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে জানায়, মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ মহাসচিব বা জাতিসংঘের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখা কোনোভাবেই ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে না।
বিবৃতিতে সরাসরি ইসরায়েলের নাম উল্লেখ করা হয়নি। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এ ধরনের বিবৃতির জন্য সদস্যদের সর্বসম্মতিতে সম্মতি প্রয়োজন।
ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সুনিদিষ্টভাবে নিন্দা করতে ব্যর্থতার অভিযোগে বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ‘অবাঞ্চিত’ ঘোষণা করে ইসরায়েল। সেই সাথে তার ওপর ইসরায়েলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও জারি করে দেশটি।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাৎজ’র এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি জানায়, ‘যিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে ইসরায়েলের ওপর ইরানের জঘন্য হামলার নিন্দা করতে পারেন না; তিনি ইসরায়েলের মাটিতে পা রাখার যোগ্য নন।’
কাৎজ বলেন, তিনি (গুতেরেস) একজন ইসরায়েল বিরোধী মহাসচিব যিনি সন্ত্রাসবাদী, ধর্ষক ও খুনিদের সমর্থন দেন।
কাৎজ আরও বলেন, হামাস, হিজবুল্লাহ ও হুথি ঘাতকদের এবং এখন বিশ্ব সন্ত্রাসের জননী ইরানকে সমর্থন করার জন্য গুতেরেস প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে জাতিসংঘের ইতিহাসে এক কলঙ্কতিলক হিসেবে স্মরিত হবেন।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরে গুতেরেস এ অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ‘মধ্যপ্রাচ্যের ব্যাপকতর সংঘাতের’ নিন্দা করেন।
গুতেরেস বলেন, ‘এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আমাদের সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধ বিরতি দরকার।’
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার পর রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যে সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে ইসরায়েল জাতিসংঘের কঠোর সমালোচনা করেছে। গুতেরেস গাজা ও লেবাননে যুদ্ধ বন্ধের জন্য বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইসরায়েলের দিকে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ঝটিকা হামলা চালায় ইরান। এটি গত সাত মাসের মধ্যে ইসরায়েলে ইরানের দ্বিতীয় হামলা। হিজবুল্লাহ ও হামাসের শীর্ষ নেতাদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে এই হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছে ইরান।
সূত্র : রয়টার্স।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত