ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব প্রস্তুত করছে বলে শনিবার এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইরানের বেআইনি ও নজিরবিহীন আক্রমণের জবাব দিতে প্রস্তুত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তবে প্রতিক্রিয়া কবে এবং কীভাবে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে তিনি কোনো স্পষ্ট তথ্য দেননি।
গত ১ অক্টোবর, ইরান ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে অন্তত ১৮০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড এবং ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে আয়রন ডোম, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। তবে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি করে।
ইসরায়েলের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যা স্থানীয়দের পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে। তবে হতাহতের তেমন খবর পাওয়া যায়নি। একমাত্র একজন ফিলিস্তিনি যিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবস্থান করছিলেন, তিনি ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরার আঘাতে নিহত হন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর ঘাঁটিগুলোর ভেতরে আঘাত হেনেছে। তবে ঠিক কোন কোন ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা স্পষ্ট করেনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। ইরানের এই আক্রমণের পর, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পাল্টা হামলার ঘোষণা দেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপের সমর্থন জানিয়েছেন। তবে তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সরাসরি হামলা চালানোর পক্ষে নন, তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে এই সামরিক উত্তেজনা অঞ্চলে অস্থিতিশীলতার শঙ্কা বাড়াচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল