টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে বিজেপি নাকি সব হিসাব-নিকাশ উল্টে দিয়ে সরকার গঠন করবে কংগ্রেস- এই উত্তর খুঁজতে ভারতের হরিয়ানায় শুরু হয়েছে ভোট গণনা। এর আগে শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজ্যটির ৯০ আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি, সিনিয়র কংগ্রেস নেতা ভূপেন্দর সিংহ হুডা, কুমারী শৈলজা, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি) নেতা দুশান্ত চৌতালা, কুস্তিগীর এবং কংগ্রেস প্রার্থী ভিনেশ ফোগাট সহ ১০৩১ জন প্রার্থীর ভাগ্য বন্দী হয়েছে ভোটবাক্সে।
এ রাজ্যে ২০১৪ সাল থেকে ক্ষমতায় বিজেপি। এবারও তাদের প্রত্যাশা আবারও সরকার গঠন করবে তাঁরা। এ বিষয়ে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি জানান, রাজ্যের উন্নয়নে গত ১০ বছরে বিজেপি অনেক কাজ করেছে। সমাজের সব শ্রেণীর জন্য সততার সাথে সরকার পরিচালনা করেছে। একারণে টানা তৃতীয়বার বিজেপি রাজ্যটিতে ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে বলে আশা রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি আরও জানান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাবে তাঁরা।
যদিও বেশিরভাগ বুথ ফেরত জরিপে দেখা গেছে কংগ্রেসের ফিরে আসার সম্ভাবনা বেশি। এমনকি কৈথাল কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আদিত্য সুরজেবালার দাবি, তার দল ৬০ আসনে জিতে সরকার গঠন করতে চলছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সকাল ৮টায় ভোট গণনা শুরু হয়েছে। সরকার গড়তে দরকার ৪৬ টি আসন। সেখানে এখনো পর্যন্ত ৫৭ আসনে এগিয়ে আছে কংগ্রেস, ২২ আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি, ২ আসনে এগিয়ে আছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল এবং জেজেপি এগিয়ে আছে ১টি মাত্র আসনে।
সবশেষ ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৯০ আসনের মধ্যে বিজেপি ৪০ আসনে জয় পেয়েছিল। ৩১ আসনে জয় পেয়েছিল কংগ্রেস। অন্যদিকে প্রথম বারের মতো নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমে সেবার ১০টি আসনে জয় পেয়েছিল 'জননায়ক জনতা পার্টি' (জেজেপি), ১টি করে আসনে জয় পেয়েছিল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল এবং হরিয়ানা লোকহিত পার্টি। পরবর্তীতে নির্বাচনের পর জেজেপি'র সাথে জোট করে সরকার গঠন করে বিজেপি।
অন্যদিকে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরেও শুরু হয়েছে ভোট গণনা। ১০ বছর পর এই রাজ্যটিতে বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর- এই তিন দফায় রাজ্যটির মোট ৯০ বিধানসভার আসনে ভোট নেওয়া হয়। মঙ্গলবার ছিল গণনা।
সকাল ৮টায় গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই জোর টক্কর চলছে বিজেপি এবং ও কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোটের প্রার্থীদের মধ্যে। এছাড়াও রাজ্যটির সাবেক ক্ষমতাসীন দল 'পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি' (পিডিপি), আপনি পার্টি, ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ আজাদ পার্টি- এর মত কয়েকটি ছোট রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র দলের একাধিক প্রার্থীরাও এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
শেষ পর্যন্ত ৯০ আসনের মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স ৭ আসনে, বিজেপি ৬ এবং পিডিপি ১ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ও ৩৫এ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর রাজ্যের মর্যাদা হারায়। সেইসাথে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ নামে দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রের মোদী সরকার। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ বিজেপির শীর্ষ নেতারা রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আশিক