বিদেশে ইরানের সামরিক কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিভাগ কুদস ফোর্সের প্রধান ইসমাইল কানির নিখোঁজ হওয়ার খবরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল বিশ্বজুড়ে। এবার সংবদমাধ্যমের খবরে দাবি করা হল সম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্য। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইসরায়েলকে তথ্য পাঁচারের অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসমাইল কানিকে জনসম্মুখে দেখা যাচ্ছে না।
গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের ডেপুটি কমান্ডার-সহ অন্যান্য শীর্ষ কমান্ডার নিহত হওয়ার দুই দিন পর তিনি বৈরুতে যান। এরপর থেকেই কানিকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি।
অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে তখন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইসমাইল কানি বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় একজন শীর্ষ হিজবুল্লাহ নেতার সাথে নিহত হয়েছেন। তবে এখন দাবি করা হচ্ছে, তিনি জীবিত আছেন এবং ইরানের আইআরজিসি তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের সঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত থাকার সন্দেহে এবং গত মাসের শেষদিকে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে ইসরায়েলের হত্যাকাণ্ডে ভূমিকা রাখার অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কয়েক দিন আগে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া নিউজের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে, বিশিষ্ট ইরানি নেতাদের ইসরায়েল কর্তৃক হত্যার পর ইসমাইল কানিকে নজরদারিতে এবং বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাখা হয়।
বুধবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক মিডল ইস্ট আই ওয়েবসাইট, অসমর্থিত সূত্রে কাতার থেকে পাওয়া তথ্যের বরাতে জানিয়েছে, ইসমাইল কানি জীবিত এবং অক্ষত আছেন। সম্ভবত তাকে তেহরানে ইরানি কর্তৃপক্ষ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
লেবানিজ এবং ইরাকি সূত্রের বরাত দিয়ে হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র মিডল ইস্ট আইকে বলেছে, ইসমাইল কানি ‘গৃহবন্দী’ আছেন এবং তাকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সরাসরি তত্ত্বাবধানে থাকা লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার স্কাই নিউজ আরবি রিপোর্ট করেছে যে, আইআরজিসি কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় হার্ট অ্যাটাক হয় ইসমাইল কানি। এরপর তাকে দ্রুত হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসমাইল কানির চিফ অব স্টাফ এহসান শফিকির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
তবে এসব তথ্য কোনটিই স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, দ্য গার্ডিয়ান, জেরুজালেম পোস্ট, মিডল ইস্ট আই
বিডি প্রতিদিন/একেএ