সব ফ্লাইটে যেকোনো ধরনের পেজার ও ওয়াকিটকি বহন নিষিদ্ধ করেছে ইরান। লেবাননে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। ওই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছিল হিজবুল্লাহ ও ইরান।
এ বিষয়ে ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার মুখপাত্র জাফর ইয়াজারলো জানিয়েছেন, মোবাইল ফোন ছাড়া অন্য কোনো ইলেকট্রনিক যোগাযোগ ডিভাইস প্লেনের কেবিন বা লাগেজে বহন করা যাবে না।
সপ্তাহ তিনেক আগে লেবাননে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ সদস্যদের লক্ষ্য করে পেজার ও ওয়াকিটকির মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটায় ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩৯ জন নিহত এবং প্রায় তিন হাজার মানুষ আহত হন। আহতদের মধ্যে তেহরানের লেবানন রাষ্ট্রদূত মোজতাবা আমানিও ছিলেন। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছিল ইরান ও হিজবুল্লাহ।
ওই ঘটনার পর প্লেনে পেজার ও ওয়াকিটকি নিষিদ্ধ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা এমিরেটস। এছাড়া, অক্টোবরের শুরুতে ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইরানের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা।
গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এক জেনারেলসহ অঞ্চলটির নেতাদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে এই হামলা চালিয়েছিল তেহরান।
এ ঘটনার পর ইরানের বিরুদ্ধে ‘মরণঘাতী, নির্ভুল এবং অবাক করার মতো’ প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।
বিডি প্রতিদিন/কেএ