ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মিরে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরতে শুরু করেছে। বুধবার জম্মু-কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লাহ। এটি হবে তার দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ঘটনা।
ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে সেখানে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি ছিল, যা এবার শেষ হতে যাচ্ছে।
শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং আরও অনেক নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শের-ই-কাশ্মির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। জম্মু-কাশ্মিরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সামনে শপথ নেবেন ওমর আবদুল্লাহ।
দীর্ঘ ১০ বছর পর জম্মু-কাশ্মিরে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯০টি আসনের মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স ৪২টি এবং কংগ্রেস ৬টি আসনে জয়লাভ করে। এ দুটি দল মিলে সরকার গঠন করছে, যা জম্মু-কাশ্মিরে নতুন রাজনৈতিক দিগন্তের সূচনা করবে।
কংগ্রেস ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে, তাদের বিধানসভা পরিষদীয় নেতা হবেন গুলাম আহমেদ মীর, যিনি দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকও। অন্যদিকে, ওমর আবদুল্লাহ ২০০৯ সাল থেকে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তিনি ২০০৯ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে প্রথমবারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন এবং তখন তিনি কাশ্মিরের ইতিহাসে তরুণতম মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এবারও তার নেতৃত্বে ন্যাশনাল কনফারেন্স কাশ্মিরের রাজনৈতিক মঞ্চে ফিরে এসেছে।
প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরিত গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী শপথ গ্রহণের আগেই রাষ্ট্রপতির শাসন প্রত্যাহার করা হবে। দীর্ঘদিন রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে থাকা এই অঞ্চল নতুন করে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হতে যাচ্ছে, যা কাশ্মিরের জনগণের জন্য নতুন আশার বার্তা বহন করছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল