ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহে রাশিয়া যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ২২-২৩ অক্টোবর কাজ়ান শহরে ব্রিকসের ষোড়শ শীর্ষ সম্মেলন হবে।
ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, বাণিজ্য এবং উন্নয়নের পাশাপাশি ইউক্রেন ও পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতিও ব্রিকসে এবার আলোচনায় আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। চার মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার রাশিয়া সফর যাচ্ছেন মোদী। গত জুলাই মাসে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশে গিয়েছিলেন তিনি। এবারও ব্রিকেসের পাশ্ববৈঠকে মোদী-পুতিন আলোচনা হতে পারে।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চীন ও রাশিয়ার উদ্দেশ্য হলো আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জি৭-এর সমকক্ষ একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী তৈরি করা, যার রাশ থাকবে তাদের হাতে। অর্থাৎ, পুরনো ব্লক রাজনীতির ধাঁচে আমেরিকার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী অক্ষ তৈরি করা।
ব্রিকসভুক্ত অধিকাংশ দেশই পশ্চিম-বিরোধী জোটশক্তির অংশ বলে মনে করে কূটনৈতিক মহল। জাতিসংঘে চীন, রাশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা গাজ়া পরিস্থিতি নিয়ে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল। ভারত ভোটদানে বিরত ছিল।
গত নভেম্বরে গাজ়া পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিকসের ভার্চুয়াল শীর্ষবৈঠকে যোগ দেননি মোদী। পরিবর্তে সেখানে নয়াদিল্লির প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন দেশটির মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তার আগে গত বছরের আগস্টে চীনের প্রস্তাব মেনে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনে ওই গোষ্ঠীতে যোগদানের জন্য ছয়টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
এশিয়ায় ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং সৌদি আরব, আফ্রিকার মিশর এবং ইথিওপিয়ার পাশাপাশি এই তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনাও। এই আবহে রাশিয়ার মাটিতে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে মোদীর যোগদান ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ সিদ্ধান্ত মনে করছে ভারতের কূটনৈতিক মহলের একাংশ।
বাংলাদেশ প্রতিদিন/কেএ