আফগানিস্তানে মাদকবিরোধী লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে। মার্কিন সরকারের পর্যবেক্ষক নতুন এক প্রতিবেদনে এই কথা বলেছে। কেননা তৎপরতা সত্বেও ২০১৩ সালে আফগানিস্তানে সর্বোচ্চ পরিমাণ আফিম (মাদক) উৎপাদনকারী পপির চাষ হয়েছে।
আফগানিস্তানে আফিমের চাষ বন্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র গত ১৩ বছর ধরে ৭৬০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে বলে জানিয়েছেন আফগানিস্তানের পুনর্গঠন বিষয়ক বিশেষ মহাপরিদর্শক জন সোপকো। আফগান কৃষকদের জীবিকা পরিবর্তন এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের কাজে সমর্থন দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্থা এসব অর্থের যোগান দিয়েছে। কিন্তু তা সত্বেও গত বছর আফগানিস্তানের ২০ লাখ ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আফিম চাষ করা হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০১৩ সালে ৫০ শতাংশ বেশি আফিম উৎপাদিত হয়েছে। আর উৎপাদিত ফসলের বাজার মূল্য প্রায় তিনশ কোটি ডলার। এ বিষয়ে মহাপরিদর্শক সোপকো বলেছেন, আফগানিস্তানের গ্রামীণ এলাকার বিভিন্ন অংশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নাজুক হয়ে পড়ায় এবং পপি ক্ষেতগুলো ধ্বংস করার তৎপরতা কমে যাওয়ায় চলতি বছর চাষ আরো বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশকে ‘পপিমুক্ত’ ঘোষণা করা হলেও সেখানে আবার পপি চাষ করা হয়েছে। পপি চাষের এই রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধির পেছনে গভীর নলকূপ ভূমিকা রেখেছে বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে।

গত এক দশকে গভীর নলকূপের সাহায্যে মরুভূমির দুই লাখ হেক্টর এলাকাকে কৃষি জমিতে পরিণত করা সম্ভব হয়েছে।এসব জমির অধিকাংশই আফিম উৎপাদনের জন্য পপি চাষে ব্যবহার করা হয়েছে। বিশ্বে উৎপাদিত মোট আফিমের ৮০ ভাগই আফগানিস্তানে উৎপন্ন হয়। উৎপাদিত আফিম বিক্রির অর্থ দেশটিতে দুর্নীতিচক্র, অপরাধীচক্র বজায় রাখা ও তালেবান গোষ্ঠীর মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর তহবিল যোগানে ব্যবহৃত হয়। সিএনএন,বিবিসি।