শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

সীমান্তে মসজিদ-মাদ্রাসায় নজরদারির নির্দেশ ভারতের

সীমান্তে মসজিদ-মাদ্রাসায় নজরদারির নির্দেশ ভারতের

বাংলাদেশ ও নেপালের সঙ্গে ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর অবস্থিত একাধিক মাদ্রাসা এবং মসজিদের ওপর নজরদারি রাখতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)-কে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের গৃহ মন্ত্রালয়। সূত্রে খবর, মূলতঃ পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে অবস্থিত অনুমোদনহীন মাদ্রাসা এবং মসজিদের কাজকর্মের ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কান্ডে তদন্তে নেমে বর্ধমান, মুর্শিদাবাদসহ সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে একের পর অনুমোদনহীন মাদ্রাসার খোঁজ পেয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। বর্ধমানে শিমুলিয়ার একটি মাদ্রাসাতে রাসায়নিক পদার্থ, এয়ারগানের গুলি, তলোয়ার, ছুরি, পাঞ্চিং ব্যাগ, বক্সিংয়ের গ্লাভস, মোবাইল ফোনের ব্যাটারি, মোবাইলের চার্জার, বেশ কয়েকটি ফ্যানের রেগুলেটর, আরিব ভাষায় লেখা ও নকশা সম্বলিত একটি ডায়েরি পাওয়া যায়। এছাড়াও এই দুই জেলার বেশকিছু অবৈধ মাদ্রাসার ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জেহাদি বই, জেহাদি প্রশিক্ষণের সিডি, কম্পিউটার, টেপ রেকর্ডার, আপত্তিকর নথিপত্র, বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম।

গোয়েন্দাদের ধারণা মাদ্রাসাগুলিতে শুধু গুলি চালানো, ক্যারাটে কিংবা বক্সিং নয়, বোমা তৈরির প্রশিক্ষণও দেওয়া হত। খুব সম্ভবত আইইডি (ইমপ্রোভাইস এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) তৈরির প্রশিক্ষণে রেগুলেটরগুলি ব্যবহার করা হতো। আর জেহাদিদের বক্তব্য টেপ রেকর্ডারের মাধ্যমে নারীদের শুনিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপে উদ্বুদ্ধ করা হতো। ২ অক্টোবরের ওই বিস্ফোরণে মৃত বাংলাদেশের জামাত-উল-মুজাহিদিনের দুই সদস্য শিমুলিয়ার ওই মাদ্রাসাটিতে প্রশিক্ষণ দিত বলে জানতে পারে এনআইএ।

মন্ত্রালয়ের সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা অনুমোদনহীন মাদ্রাসাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির আয়ের উৎস কি- এটা জানাতে চাওয়া হলে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের পক্ষে বলা হয়েছে 'বিদেশি অনুদানের বিষয়টি নির্ধারনের কোন পন্থা তাদের জানা নেই'। মন্ত্রণালয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন ‘আমাদের কাছে খবর আছে যে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের একাধিক অনুমোদনহীন মাদ্রাসা আছে। আমাদের ধারনা ওই মাদ্রাসাগুলিতে নিয়মিত বিদেশি অনুদান আসে। তাছাড়া ওই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে অচেনা বহিরাগত হিসেবে কারা কারা আসছে, তাদের পরিচয় কী, বহিরাগতরা কতদিন থাকছে, তাদের কাজের ধরন কী- সে সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে বিএসএফ এবং এসএসবি-কে। তার অকপট স্বীকারোক্তি অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলি প্রকৃতপক্ষেই দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/২৩ অক্টোবর ২০১৪/আহমেদ
 

সর্বশেষ খবর