মিশরে মাত্র ১৩ বছর বয়সি এক তরুণীর জরায়ু অপসারণ করায় তার বাবা ও এক চিকিৎসকের দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। এই মামলায় আগে ওই তরুণীর বাবা ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক খালাস পেলেও পুনর্বিচারে তাদের দুজনের দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সোমবার বার্তা সংস্থা বিবিসি এ সংবাদ প্রকাশ করে।
দণ্ডপ্রাপ্ত চিকিৎসকের নাম রাসলান ফাদল। তাকে ‘মানুষ জবাইকারী’ হিসেবে অভিহিত করে মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। এ জন্য তাকে দুই বছর সশ্রম কারা ভোগ করতে হবে। এ ছাড়া জরায়ু অপসারণ করার দায়ে আরো তিন মাস সাজা ভোগ করতে হবে রাসলান ফাদলকে। এছাড়া এক বছরের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তার ক্লিনিক।
সুহাইর আল বাতা নামে ১৩ বছর বয়সি মেয়েটির জরায়ু অপসারণ করেন চিকিৎসক রাসলান ফাদল। এরপর ২০১৩ সালে সুহাইর আল বাতা মারা যায়।এদিকে আদালতের রায়কে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন মিশরের মানবাধিকার কর্মীরা।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল থেকে মিশরে জরায়ু অপসারণ নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু তারপরও তা চলছে। এতে করে নারীরা মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়েছে। এ ছাড়া সন্তান ধারণের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেশটির নারীরা। এ বিরুদ্ধে প্রচার অব্যাহত রেখেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব