শনিবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

বিমানটির পাইলট নিজের আসনে ছিলেন না!

বিমানটির পাইলট নিজের আসনে ছিলেন না!

ইন্দোনেশিয়ার জাভা সাগরে গত ডিসেম্বরে বিধ্বস্ত এয়ার এশিয়ার বিমানটির পাইলট নিজের আসন থেকে সরে গিয়ে অন্য একটি কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তখন তার কম অভিজ্ঞ সহকারী পাইলট বিমানটি চালাচ্ছিলেন। সহকারী পাইলট বিমানটি চালাতে গিয়ে এক পর্যায়ে এর উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। অবশ্য এর মধ্যে মূল পাইলট নিজের আসনে ফিরে আসলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। ফলশ্রুতিতে বিমানটি চূড়ান্তভাবে দুর্ঘটনার শিকার হয়। এয়ার এশিয়ার ফ্লাইট কিউজেড ৮৫০১ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দু'জন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে একথা জানিয়েছেন। খবর দ্য হিন্দুর

বিধ্বস্ত বিমানটির পাইলট ছিলেন ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক ইরিয়ান্তো। তার সহকারী পাইলটের দায়িত্বে ছিলেন ফরাসি রেমি প্লেজল। দুর্ঘটনায় পড়ার দিন কয়েক আগে থেকেই বিমানটির ফ্লাইট কন্ট্রোল কম্পিউটারে [ফ্লাইট অগমেন্টেশন কম্পিউটার] সমস্যা ছিল। গত ২৮ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ইন্দোনেশিয়ার সুরাবাইয়া বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর বিমানটিতে একই সমস্যা ছিল যা পাইলট নিজে ঠিক করার চেষ্টা করছিলেন। আর তখনই বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে।

এদিকে, পাইলট ও তার সহকারী পাইলট তখন ফ্লাইট কন্ট্রোল কম্পিউটারের বিদ্যমান সমস্যাটি কিভাবে পরিচালনা করছিলেন তা-ই এখন দুর্ঘটনা তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে চলতি সপ্তাহে একথা জানিয়েছে।

অপরদিকে, ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার এজেন্সি সম্প্রতি বিমানটির মূল বডি [ফিউসালাজ] উদ্ধারের কাজ স্থগিত করেছে । সাগরের তলদেশে এটি খুব ভঙ্গুর অবস্থায় আছে বলে তারা উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে। এছাড়া বাকি যাত্রীদের দেহাবশেষ ফিউসালাজের ভেতরে আটকা পড়ে আছে বলে প্রথমদিকে উদ্ধারকাজে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করেছিলেন। তবে পরে তারা জানতে পারেন যে, সেখানে আর কোনো যাত্রীর দেহাবশেষ নেই। তাই তারা হয়তো এখন মূল বডিটির উদ্ধারকাজ স্থগিত করেছেন।

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত বিমানটির মোট ১৬২জন আরোহীর মধ্যে মাত্র ৭০ জনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/ ৩১ জানুয়ারি ২০১‌৫/শরীফ

সর্বশেষ খবর