শিরোনাম
শনিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

শিরশ্ছেদকারীর বিচার চাই

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি

শিরশ্ছেদকারীর বিচার চাই

পশ্চিমা জিম্মিদের শিরশ্ছেদ করা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মুখোশধারী 'জল্লাদ' 'জিহাদি জনকে' জীবিত অবস্থায় ধরতে চান এক নিহতের স্ত্রী। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো তার বিচারের দাবি জানায়। যুক্তরাজ্যের ত্রাণকর্মী ডেভিড হাইন্সের বিধবা স্ত্রী দ্রাগানা হাইন্স জানান, তার স্বামীকে যে ব্যক্তি হত্যা করেছে তাকে জীবিত অবস্থায় ধরে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হোক। তবে তদন্ত চলায় যুক্তরাজ্যের পুলিশ এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি। পশ্চিমা জিম্মিদের শিরশ্ছেদের ভিডিওগুলোতে মুখ ঢাকা কালো পোশাকে দেখা গেছে এ জিহাদি জনকে। বিবিসি জানায়, তার নাম মোহাম্মদ এমওয়াজি। যুক্তরাজ্যের নাগরিক কুয়েতি বংশোদ্ভূত এমওয়াজির বয়স ২০-এর কোটায়। তিনি পশ্চিম লন্ডনের বাসিন্দা। একজন আইটি বিশেষজ্ঞ। আগে যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক জেমস ফোলির শিরশ্ছেদের ভিডিও প্রকাশ পায়। ওই ভিডিওতে প্রথম এমওয়াজিকে দেখা যায়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক স্টিভেন সলোফ, যুক্তরাজ্যের ত্রাণকর্মী ডেভিড হাইন্স, যুক্তরাজ্যের ট্যাঙ্চিালক অ্যালান হেনিং, যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণকর্মী আবদুল-রহমান কেসিং (যিনি পিটার নামেও পরিচিত) এর শিরশ্ছেদের ভিডিওতেও এমওয়াজিকেই দেখা গেছে বলে ধারণা যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা বাহিনীর। হাইন্সের বোন বেথানে ওই হত্যাকারীর পরিচয় প্রকাশের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তিনি আইটিভি নিউজকে বলেন, 'আমি মনে করি সব পরিবার (শিরশ্ছেদে নিহতদের) একটু স্বস্তি পাবে যখন একটি গুলি তার দুই চোখের মাঝখানে দেখা যাবে। এদিকে জ্যান্ত মানুষকে পুড়িয়ে মাটিচাপা দেওয়া এবং গলা কেটে মানুষ হত্যা করা আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস তার বর্বরতার প্রমাণ দিয়েছে। এ বর্বরতার সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে প্রত্নতাত্তি্বক ও সাংস্কৃতিক নিদর্শন ধ্বংস করা। সম্প্রতি আইএসআইএল সন্ত্রাসীরা ইরাকের গুরুত্বপূর্ণ শহর মসুলে বহু প্রাচীন মূর্তিসহ বিভিন্ন নৃতাত্তি্বক ও পুরাতাত্তি্বক নিদর্শন ধ্বংস করার ভিডিও প্রকাশ করেছে। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মসুল ও নেরগাল গেইট জাদুঘরে খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ থেকে ১০০০ বছর আগের অনেক প্রত্নতত্ত্ব রয়েছে। এ ধ্বংসযজ্ঞে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো এবং আন্তর্জাতিক প্রত্নতত্ত্ববিদরা। বিবিসি।

 

 

সর্বশেষ খবর