মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

উত্তপ্ত মার্কিন রাজনীতি

নেতানিয়াহুর ভাষণ বয়কটের ঘোষণা

উত্তপ্ত মার্কিন রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যকার টানাপড়েন থেকে এখন উত্তপ্ত মার্কিন রাজনীতি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভক্ত হয়ে পড়েছে মার্কিন রাজনীতি।

এদিকে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার জন বোয়েনার অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ধ্বংস করে দিচ্ছে খোদ হোয়াইট হাউস। তিনি বলেন, হোয়াইট হাউস ইসরায়েলের সঙ্গে শত্রুতা শুরু করেছে। রবিবার মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোয়েনার বলেন, এই শহরে আর এখন এ কথা মোটেই গোপন নয় যে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হোয়াইট হাউসের শত্রুতা চলছে। তারা গত পাঁচ থেকে ছয় বছরে এ অবস্থার অনেক অবনতি ঘটিয়েছে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচির কথিত ঝুঁকির বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের 'যুদ্ধবাজ' প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে জন বোয়েনার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আর সেই ভাষণ বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেট। আজ (মঙ্গলবার) ওই ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। এর আগ মুহূর্তে বোয়েনার হোয়াইট হাউসের বিরুদ্ধে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক ধ্বংসের অভিযোগ আনলেন। তিনি নেতানিয়াহুকে বিশ্বস্ত বন্ধু বলেও আখ্যা দেন।

এরইমধ্যে নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন পৌঁছেছেন রবিবার। আর নেতানিয়াহুকে আমন্ত্রণের বিরোধিতা করেছে ওবামা প্রশাসন। ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেট দলের অনেক কংগ্রেসম্যান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নেতানিয়াহুর ওই ভাষণ বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়েও দুই নেতার মধ্যে চলছে বাকবিতণ্ডা। এই কর্মসূচির ঘোরবিরোধী নেতানিয়াহু। অন্যদিকে কিছুটা শিথিলতা বজায় রাখতে চাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। যা ভালো চোখে দেখছে না যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান দল। তবে নেতানিয়াহুর সফর শেষে বুঝা যাবে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে বরফ কতোটা গলে। অনলাইন।

 

 

সর্বশেষ খবর