বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

তুরস্কে জিম্মি ঘটনার অবসান, নিহত ৩

তুরস্কে জিম্মি ঘটনার অবসান, নিহত ৩

তুরস্কে ইস্তাম্বুলের একটি আদালতে জিম্মির ঘটনায় উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে দেশটির পুলিশ। মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় বিতর্কিত একটি মামলায় জড়িত এক প্রসিকিউটরকে জিম্মি করা হয়েছিল।

ইস্তাম্বুলের পুলিশ প্রধান সালামি আলতিওক গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অভিযান চলার সময় গুলিতে  দুই জিম্মিকারী নিহত হয়েছে। এসময় গুরুতর আহত হন প্রসিকিউটর মেহমেত সেলিম কিরাজ। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার মৃত্যু ঘটে। তিনি জানান, কিরাজকে জিম্মি করে রাখার পর ও অভিযান চালানোর আগে ছয় ঘণ্টা জিম্মিকারীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, জিম্মি করে রাখা কক্ষটি থেকে গুলির আওয়াজ আসার পর আমরা অভিযান চালাই। জিম্মিকারীরা মার্কসবাদী বামপন্থী দল রেভ্যুলেশনারি পিপলস লিবারেশন পার্টি-ফ্রন্ট (ডিএইচকেপি/সি) এর সঙ্গে জড়িত।

উল্লেখ্য, মেহমেত সেলিম কিরাজ নামের ওই আইনজীবী বার্কিন এলভান নামের এক কিশোর নিহতের ঘটনার তদন্ত করছিলেন। ২০১৩ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোর আহত হয়। পরে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর সে মারা যায়। নিহত কিশোরের বাবা সেলিম এলভান বলেছেন, তার ছেলে মারা তো গেছেই। তিনি আর কোনো মৃত্যু দেখতে চান না। তিনি ওই আইনজীবীকে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। এদিকে কিরাজকে জিম্মি করার পর বন্দুকধারীরা শর্ত দিয়েছিল— সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাকে (যার গুলিতে ওই কিশোর আহত হয়) প্রকাশ্যে হত্যার দায় স্বীকার করতে হবে। সরকারি আদালত নয়, গণআদালতে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিচার করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ওই কিশোরের মৃত্যুর পর তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছিলেন, সে হালকা আঘাত পেয়েছিল। সেইসঙ্গে ওই কিশোর ‘সন্ত্রাসী’ গ্রুপের সঙ্গে জড়িত বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিবিসি, আল জাজিরা।

বিডি-প্রতিদিন/ ০১ এপ্রিল, ২০১৫/ রোকেয়া।

সর্বশেষ খবর