মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন তিনি। খবর আলজাজিরা ও বিবিসির ২০১২ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্রপতি প্রাসাদের বাইরে ১০ বিক্ষোভকারীকে হত্যায় জড়িতের অভিযোগে মুরসিকে এই সাজা দেওয়া হলো। মুরসিই ছিলেন দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
মুরসির বিরুদ্ধে এখনো তিনটি মামলা বিচারধীন রয়েছে। মামলাগুলোতে তার বিরুদ্ধে ২০১১ সালে মোবারকবিরোধী আন্দোলন চলাকালে জেল ভাঙা, ফিলিস্তিনি হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইরানী রেভ্যুলেশনারি গার্ডের সঙ্গে জড়িত এবং আল জাজিরার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় তথ্য ফাঁসের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
একনায়ক হোসনি মোবারকের পতনের পর ২০১২ সালের মে মাসে নির্বাচনে জয়ী হয়ে মিশরের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির নেতা মোহাম্মদ মুরসি।এক ডিক্রিকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভের জের ধরে ২০১৩ সালের ৩ জুলাই মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন দেশটির তৎকালীন সেনাপ্রধান বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। মুরসির শাসনামলে সেনাপ্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া ফাত্তাহ ২০১৪ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট হন।
সিসি ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মুসলিম ব্রাদারহুডের অন্তত এক হাজার ২১২ সমর্থককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দলটির প্রধান নেতা মোহাম্মদ বাদিও রয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ এপ্রিল ২০১৫/শরীফ