মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

নেপালের ভূমিকম্প যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি

৮০ বছর আগের ওই ভূমিকম্পে মারা গিয়েছিল ১৭ হাজারেরও বেশি

নেপালে গত শনিবারের ভূূমিকম্প যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। আজ থেকে ৮০ বছর আগে এক ভূমিকম্পে কাঠমান্ডুর চার ভাগের এক ভাগই ধুলায় মিশে গিয়েছিল। সেই সময় গোটা নেপালে ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, এক শতকের কাছাকাছি ব্যবধানে দুটো প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পের ঘটনা নেপালে আগেও ঘটেছে। সেটা এখন থেকে প্রায় ৭০০ বছর আগে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই ফরাসি বিজ্ঞানীরা দেশটিতে ভূমিকম্পের এই জোড়া ধারার বিষয়টি চিহ্নিত করতে সক্ষম হন। তৃতীয় শতকে নির্মিত নেপালের দরবার চত্বর ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। দেশটির এমন বেশির ভাগ ঐতিহাসিক স্থাপনাই এবারের ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নেপালে মাঠপর্যায়ে গবেষণা চালাতে গিয়ে এ অঞ্চলের ভূমিকম্প সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা বেশকিছু বিষয় শনাক্ত করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রায় শত বছরের ব্যবধানে পরপর দুটো প্রলয়ঙ্গরী ভূমিকম্পের ধারা এবং কাঠমান্ডু ও পোখারা শহরের মধ্যবর্তী স্থানের চ্যুতি রেখায় ভূমিকম্পের আসন্ন ঝুঁকি।

ফরাসি বিজ্ঞানীরা ঠিক যে খাতে ভূমিকম্পের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন শনিবার ঠিক সেই খাতেই ভূমিকম্প হয়। ফ্রান্সের বিকল্প জ্বালানি ও আণবিক জ্বালানি কমিশন 'সিইএ'-এর গবেষক লরেন বলিঙ্গার ও তার সহকর্মীরা গত মাসে নেপালের জিওলজিক্যাল সোসাইটিকে ওই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। নেপালের পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূর বিস্তৃত একটি ভূমিকম্প চ্যুতি রেখা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানান, একটা বড়সড় ভূমিকম্পের পর নানা চ্যুতি রেখার ওপর আরও চাপ বাড়তে থাকে। কাঠমান্ডু-পোখারার মধ্যবর্তী এই চ্যুতি রেখাতে ১২৫৫ সালের ভূমিকম্পের পরও তাই ঘটেছিল। পরবর্তী ৮৯ বছর ধরে ওই চ্যুতির পশ্চিম অংশে চাপ বাড়তে থাকে। অবশেষে ১৩৪৪ সালে সেটা চাপ সামলাতে না পেরে ভেঙে পড়ে। এবারও এভাবেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়েছে। রয়টার্স।

সর্বশেষ খবর