রবিবার, ২৪ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

সৌদি মসজিদে হামলার দায় স্বীকার আইএসের

পরমাণু অস্ত্রের দিকে নজর জঙ্গিদের

সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় শিয়া অধ্যুষিত এলাকার একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে আইএস। শিয়া ওই মসজিদটিতে শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করার সময় হামলা চালানো হলে ২১ জন নিহত হন। সৌদি আরবে চালানো এটিই আইএসের প্রথম হামলা। যার দায় স্বীকার করল আইএস। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকট ওই বিস্ফোরণের সময় কাতিফ জেলার আল-কাদেহ গ্রামের ইমাম আলি মসজিদটিতে ১৫০ জনেরও বেশি মুসলি্ল ছিলেন। নামাজরত অবস্থায় বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। হামলায় ৯০ জনেরও বেশি আহত হন বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এদিকে ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এক বছরের মধ্যে পরমাণু অস্ত্রের মালিক হবে বলে খবর বেরিয়েছে। আইএসের মুখপাত্র বলে পরিচিত 'দাবিক' ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে গতকাল জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম। আইএসের হাতে বন্দী ব্রিটিশ ফটো সাংবাদিক জন কেন্টলির লেখা ওই প্রতিবেদেনে দাবি করা হয়, এক বছরের মধ্যে সংগঠনটি তাদের প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র কিনতে চলেছে। অস্ত্রটি কেনা হবে পাকিস্তানের কাছ থেকে। ব্রিটিশ ফটো সাংবাদিক জন কেন্টলি দুই বছর ধরে আইএসের কাছে বন্দিদশায় রয়েছেন। বর্তমানে দাবিক ম্যাগাজিনে প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে তাকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। 'দ্য পারফেক্ট স্ট্রম' শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএস জঙ্গিরা এরই মধ্যে ইরান ও মার্কিন বাহিনীর কাছ থেকে ট্যাংক, রকেট লঞ্চার, মিসাইল সিস্টেম, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট সিস্টেম ছিনিয়ে নিয়েছে। তারা এখন অস্ত্রে সমৃদ্ধ। দাবিক বলে, ব্যাংকে বর্তমানে ইসলামিক স্টেটের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পড়ে রয়েছে। এই অর্থ কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি। এরই অংশ হিসেবে পাকিস্তানে আইএসের ওয়ালিয়াহকে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পারমাণবিক অস্ত্র কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এই কাজে সহায়তা দেবে দেশটির দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আর যদি পারমাণবিক অস্ত্র না কেনা যায়, তাহলে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরক তো রয়েছেই। পারমাণবিক অস্ত্রের সমপরিমাণ অর্থ ব্যয়ে হাজার টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট তো পাওয়াই যাবে। দাবিক তার প্রতিবেদনে বলে, আইএস সত্যিকার অর্থেই বড় কিছু করার প্রত্যাশায় রয়েছে। এক বছরের মধ্যে সংগঠনটি কি করেছে, তা মনে রাখতে হবে। আর তা থেকেই ধারণা করে নিতে হবে, আগামী এক বছরে আইএস কতটা মারাত্মক আকার ধারণ করবে। বর্তমানে ইসলামিক স্টেট ইরাক ও সিরিয়ার সিংহভাগ এলাকায় নিজেদের শাসন কায়েম করেছে। সমপ্রতি সিরিয়ার হোমস প্রদেশের ঐতিহাসিক পালমিরা দখলের পর দেশটির অর্ধেক এলাকা সংগঠনটির দখলে চলে গেছে। বিবিসি ও এএফপি।

 

সর্বশেষ খবর