রবিবার, ৫ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

ভারতে ছাত্রীর আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে সাংবাদিকের মৃত্যু

ভারতে ছাত্রীর আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে সাংবাদিকের মৃত্যু

ফের খবরের শিরোনাম ভারতের মধ্যপ্রদেশ। কয়েকদিন আগেই অবৈধ খনি এবং জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে খবর করার জেরে সন্দীপ কোঠারি নামে এক সাংবাদিককে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। এবার সেই মধ্যপ্রদেশেই ভয়াপম (মধ্যপ্রদেশ ব্যবসায়িক পরীক্ষা মন্ডল) কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ছাত্রী নম্রতা ডামোরের 'আত্মহত্যার' পর তার বাবা-মায়ের সাক্ষাতকার নিতে গিয়ে ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক সাংবাদিকদের।

শনিবার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে রাজ্যটির ঝাবুয়া শহরের কাছে মেঘনগরে। দিল্লির একটি জনপ্রিয় গণমাধ্যমের (আজতক) ওই সাংবাদিকের নাম অক্ষয় সিং।

মৃত ছাত্রীর বাবা মেহতাব সিং ডামোরের বয়ান অনুযায়ী 'শনিবার অক্ষয় তার তিন সহকর্মীকে নিয়ে তাদের সাক্ষাতকার নেওয়ার পর বাড়ির বাইরে বের হয়ে যায়। এরইমধ্যে ওই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত নথিপত্র কপি করে আনতে যান একজন। অক্ষয় সে সময় মেহতাবের বাড়ির বাইরেই অপেক্ষা করছিলেন। তখনই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার মুখ থেকে ফেনা বের হতে শুরু করে। এরপর তড়িঘড়ি করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তার'। ভয়াপম কেলেঙ্কারিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হল ৪২ জনের।

অক্ষয়ের মৃত্যুর পরই মধ্যপ্রদেশ বিজেপি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। দলের নেতা আর.পি.এন.সিং বলেছেন 'এই মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে স্বাধীন তদন্ত হওয়া উচিত। যদি সিবিআই-কে দিয়ে এই তদন্ত করা হয় তবে সত্য সামনে আসবে'। তার প্রশ্ন- এই কেলেঙ্কারিতে মধ্যপ্রদেশে এখন পর্যন্ত এতগুলো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কখন ঘুম ভাঙবে?

সংবাদ সম্মেলন করে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন 'এই ঘটনা অত্যন্ত দুভার্গজনক। মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। সাংবাদিকদের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (এসআইটি)-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।'

এদিকে ‘ইন্ডিয়া টুডে’ গ্রুপের তরফে তাদের কর্মী অক্ষয় সিং-এর মৃত্যুতে এক বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে '২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে আজতকের বিশেষ প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করছেন অক্ষয়। তার এই অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে দু:ক্ষিত'।

সকালে অক্ষয়ের মরদেহ ঝাবুয়া থেকে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়। দুপুর দুইটা নাগাদ দিল্লির নিগমবোধ শশ্মানঘাটে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান হয়। রবিবার দুপুরে অক্ষয়ের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, রাহুল গান্ধী, উপমুখ্যমন্ত্রী মনিশ শিশোদিয়া, কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন, দিল্লির বিজেপি সভাপতি সতিশ উপাধ্যায় প্রমুখ।

বিডি-প্রতিদিন/০৫ জুলাই ২০১৫/ এস আহমেদ

সর্বশেষ খবর