বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

গাদ্দাফির ছেলের মৃত্যুদণ্ড

গাদ্দাফির ছেলের মৃত্যুদণ্ড

সাইফ আল ইসলামকে

যুদ্ধাপরাধের দায়ে লিবিয়ার নিহত সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির বড় ছেলে সাইফ আল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। গতকাল ত্রিপোলির একটি আদালতে এ রায় দেওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না সাইফ। তার অনুপস্থিতিতেই আদালত এ রায় দেয়। এর আগে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন তিনি। রায়ে ফায়ারিং স্কোয়াডে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০১১ সালে গাদ্দাফির শাসনের শেষদিকে গাদ্দাফিবিরোধী গণবিক্ষোভ দমনের চেষ্টায় সাইফ সরাসরি ভূমিকা রেখেছিলেন। জোর করে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টায় গণবিক্ষোভ শেষ পর্যন্ত গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। সাইফের পাশাপাশি আদালত গাদ্দাফি আমলের আট শীর্ষ কর্মকর্তাকেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এদের সবার মৃত্যুদণ্ড ফায়ারিং স্কোয়াডে কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এসব শীর্ষ কর্মকর্তার মধ্যে সাবেক গোয়েন্দা প্রধান আবদুল্লাহ আল সেনুসি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাগদাদি আল মাহমুদি রয়েছেন। দেশটির আল নাবা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে ত্রিপোলি স্টেট প্রসিকিউটর আল সুর জানিয়েছেন, গাদ্দাফি আমলের আরও আট সাবেক কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আরও সাতজনের প্রত্যেককে ১২ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি চারজনকে নির্দোষ ঘোষণা করা করেছে আদালত। সাইফ বাদে বাকি সবাই আদালতের হেফাজতে রয়েছেন। গত চার বছর ধরে সাইফ জিনতান শহরে সাবেক এক বিদ্রোহীগোষ্ঠীর হাতে বন্দী রয়েছেন।

সেই গোষ্ঠীর ওপর লিবিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সাইফকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেছে জিনতান নিয়ন্ত্রণকারী ওই গোষ্ঠীটি। লিবিয়ার ক্ষমতা নিয়ে ত্রিপোলিতে সরকারের দুটি উপদলের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার আগেই ২০১৪ সালের এপ্রিলে এই বিচারকাজ শুরু হয়েছিল। আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা যাবে। উচ্চ আদালতে এ রায় নিশ্চিত হলেই কেবল রায় কার্যকর করা যাবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো লিবিয়ার বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে ২০১৩ সালে এই বিচার ব্যবস্থাই হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে সেনুসির বিচারের বদলে দেশে তার বিচার করার অধিকার লাভ করেছিল। বিবিসি।

 

সর্বশেষ খবর