শনিবার, ১ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

ফ্রান্সে পৌঁছেছে সেই বস্তুটি

ফ্রান্সে পৌঁছেছে সেই বস্তুটি

ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে অবস্থিত ফরাসি মালিকানাধীন দ্বীপ লা রেউনিয়নে পাওয়া কোনো বোয়িং ৭৭৭ বিমানের ডানার মতো দেখতে বস্তুটি ফ্রান্সে পৌঁছেছে। এয়ার ফ্রান্সের একটি বিমান বস্তুটিকে নিয়ে আজ শনিবার জিএমটি সময় ৪টা ১৭ মিনিটে প্যারিসের নিকটবর্তী অরলি বিমানবন্দরে পৌঁছে। সেখান থেকে ৬.৫ থেকে ৮ ফুট লম্বা বস্তুটিকে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর টুলুসের নিকটবর্তী একটি সেনা ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হবে। এই ইউনিটটি বিমান দুর্ঘটনার ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। বস্তুটির উৎসস্থল অর্থাৎ এটি কোথা থেকে এসেছে তা-ই সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানার চেষ্টা করা হবে। রয়টার্স তাদের একজন প্রত্যক্ষদর্শী ও এএফপির বরাত দিয়ে আজ একথা জানিয়েছে।

'ফ্লাপেরন'র মতো দেখতে বস্তুটির সঙ্গে একটি লাগেজের অংশবিশেষও রয়েছে যা ওই দ্বীপেই পাওয়া যায়। মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০ বোয়িং ৭৭৭ বিমানটির ভাগ্যে আসলে কি ঘটেছে তা এ দুটি বস্তু বড় ধরনের তথ্য দিবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা বিশেষজ্ঞরা। ফ্লাপেরন সাধারণত বোয়িং ৭৭৭ বিমানের ডানার সঙ্গে যুক্ত একটি অংশ বিশেষ।

গত বুধবার ২৯ জুলাই মাদাগাস্কারের উপকূলবর্তী ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে অবস্থিত ফরাসি মালিকানাধীন লা রেউনিয়ন দ্বীপে একটি বস্তুর সন্ধান পান দ্বীপটির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। বস্তুটিকে পরে বিশেষজ্ঞরা কোনো বিমানের ডানার অংশ 'ফ্লাপেরন' হিসেবে চিহ্ণিত করেন। লক্ষণীয়, উদ্ধার ফ্লাপেরনটি কোনো বোয়িং ৭৭৭ বিমানের বলেই বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন। আরো লক্ষণীয় যে কোনো বোয়িং ৭৭৭ বিমান থেকে ফ্লাপেরন নিখোঁজ থাকার আর কোনো রেকর্ড নেই। তাই এটি নিখোঁজ বোয়িং ৭৭৭ বিমানটির বলে বিশ্বাস বেড়েছে বিশেষজ্ঞদের। ফ্লাপেরনের মাধ্যমে পাইলট বিমানকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।

এদিকে, বস্তুটিকে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০ বোয়িং ৭৭৭ বিমানটিরই বলে সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। বস্তুটি এমএইচ ৩৭০ বিমানটির হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে ইতোমধ্যেই বিমানটির অনুসন্ধান কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মারটিন ডোলান নামে ঊর্ধ্বতন একজন অস্ট্রেলিয়ান কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বস্তুটি উদ্ধারের প্রেক্ষিতে নিখোঁজ বিমানটি খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে নিজের আত্মবিশ্বাসের কথাও ব্যক্ত করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৮ মার্চ মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে চীনের বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে উড্ডয়নের ঘণ্টাখানেক পরই রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় বোয়িং ৭৭৭ ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০। বিমানটিতে ১২জন ক্রুসহ মোট ২৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। ২২৭ জন যাত্রীর মধ্যে ১৫৩ জন ছিলেন চীনা নাগরিক ও ৩৮ জন ছিলেন মালয়েশিয়ান। বাকিরা অন্যান্য দেশের নাগরিক। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে বহুজাতিক আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আজও এর কোনো খোঁজ মিলেনি। এমনকি এখনো ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে বিমানটির অনুসন্ধান প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

বিডি-প্রতিদিন/১ আগস্ট ২০১৫/শরীফ








 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর