শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ইয়েমেনি শিশুর আকুতি ‘আমাকে কবর দিও না’

ইয়েমেনি শিশুর আকুতি ‘আমাকে কবর দিও না’

ছোট্ট শিশু ফরিদ শাওকি। বিছানার এপাশ-ওপাশ নড়াচড়া করে চিকিৎসকদের উদ্দেশে বারবার বলছিল, ‘আমাকে কবর দিও না।’ তার চোখ থেকে পানি ঝরছিল তখন। চিকিৎসক ফরিদের কোমল শরীরে হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তোমার চিকিৎসা চলছে কিন্তু তাতেও আশ্বস্ত হতে পারছে না সে। ঘটনাটি ইয়েমেনে। দেশটিতে চলছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলা। এ হামলায় বিলীন হচ্ছে জনপথ। অকাতরে জীবন যাচ্ছে মানুষের।

যুদ্ধের বীভৎসতায় ৯ বছর বয়সী শিশুটিও বুঝেছে, মৃত্যুর খুব কাছাকাছি সে। আর এর পরই কবর দেওয়া হবে তাকে। বাস্তবেও তাই হয়েছিল। মাথায় আঘাত পাওয়ায় কয়েকদিন পরই মৃত্যু হয় ফরিদের। এরপর তড়িঘড়ি করে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে। চলতি মাসে হাসপাতালে ফরিদের আর্তনাদের দৃশ্যগুলো ধারণ করেছিলেন স্থানীয় ফটোসাংবাদিক আহমেদ বাশা। কয়েকদিন পর সিএনএনকে জানিয়েছিলেন সেই দুঃখগাথা। ইয়েমেনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর তাইজে নিজ বাসা থেকে ওই সাংবাদিক সিএনএনকে বলেন, ‘আমি মনে করেছিলাম, সে (ফরিদ) সামান্য আহত। আমি এটাও নিশ্চিত ছিলাম না যে, তার কথাগুলো রেকর্ড হচ্ছিল। আমি স্থিরছবি নিয়েই বেশি চিন্তিত ছিলাম।’ আহমেদ বাশা সিএনএনকে আরও বলেন, ফরিদের মৃত্যুর খবর শোনার পর তিনি ভিডিওটি প্রকাশ করেন। এর পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।

সর্বশেষ খবর