বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

মানবাধিকার প্রশ্নে মতবিরোধ রয়েই গেল ওবামা-রাউলের

মানবাধিকার প্রশ্নে মতবিরোধ রয়েই গেল ওবামা-রাউলের

ইতিহাস গড়তেই কিউবা সফরে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে এই সফরে সম্পর্ক জোরালো হলেও আদর্শের ক্ষেত্রে যে ফারাক তা থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে কিউবার গুয়ান্তানামো বে-তে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার ও কিউবার রাজনৈতিক বন্দীসহ মানবাধিকার ইস্যুতে কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মধ্যে মতবিরোধ থেকেই গেছে। সোমবার কিউবার রাজধানী হাভানায় ঐতিহাসিক এক সংবাদ সম্মেলনে দুই নেতা বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন বলে জানিয়েছে বিবিসি। রাউল বলেন, যদি তাকে রাজনৈতিক বন্দীদের একটি তালিকা দেওয়া হয় তবে তিনি তাদের মুক্তি দেবেন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভিন্ন মতাবলম্বীদের তালিকা কিউবার কাছে আগেই দেওয়া হয়েছে, তবে সেসব বন্দীকে ভিন্ন মতাবলম্বী হিসেবে দেখে না কিউবা। যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে অবস্থান করছিল এই মতবিরোধ। রাউল বলেন, সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে কিউবার ওপর ৫৪ বছর ধরে আরোপ করে রাখা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ান্তানামো নৌ-ঘাঁটি কিউবাকে ফেরত দিতে হবে। গুয়ান্তানামো বে-র দাবির বিষয়ে ওবামা কোনো উত্তর দেননি, তবে কিউবার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে যাচ্ছে। তবে কখন, আমি পুরোপুরি নিশ্চিন্ত নই, বলেন ওবামা। সচরাচর সাংবাদিকদের কাছ থেকে আক্রমণাত্মক প্রশ্ন শুনতে অনভ্যস্ত রাউল কাস্ত্রো রাজনৈতিক বন্দীদের বিষয়ে প্রশ্নকে ‘সৌহার্দ্যমূলক নয়’ বলে মন্তব্য করেন। ওবামা বলেন, ‘কিউবার ভবিষ্যৎ যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কেউ নির্ধারণ করবে না, কিউবার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে কিউবাবাসী, অন্য কেউ নয়।’ কিউবার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যার দিকে আঙ্গুল তোলেন রাউল। তিনি বলেন, আমরা মানবাধিকার রক্ষা করি, আমাদের দৃষ্টিতে বেসামরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অধিকার আলাদা করা যায় না, এগুলো পরস্পর নির্ভরশীল এবং বিশ্বব্যাপী তা সত্য। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নারীর সম-অধিকারে কিউবা শক্তিশালী রেকর্ডের অধিকারী জানিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদ, পুলিশি সহিংসতা এবং গুয়ান্তানামো নৌ-ঘাঁটির কারাগারে বিনাবিচারে আটক রাখা বন্দীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নির্যাতনের বিষয় তুলে ধরেন। বিবিসি।

সর্বশেষ খবর