বুধবার, ৪ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

স্বাধীনতার পর প্রথম ভোট দিচ্ছেন সাবেক ছিটমহলবাসী

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

স্বাধীনতার পর প্রথম ভোট দিচ্ছেন সাবেক ছিটমহলবাসী

ভারতের স্বাধীনতার পর এই প্রথম ভোটাধিকার পেতে চলেছেন সাবেক ছিটমহলবাসীরা। আগামীকাল শেষ দফায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ভোট হবে কোচবিহার জেলার ৯টি আসনে। এই আসনগুলো হলো— মেখলিগঞ্জ, দিনহাটা, শীতলকুচি, সিতাই, তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা, কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ, নাটাবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্র। এর মধ্যে ৫টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৩৮টি বুথে ভারতে বসবাসকারী ছিটমহলের ৯ হাজার ৭৭৬ জন বাসিন্দা ভোট দেবেন। ছিটমহলবাসীদের মধ্যে সব থেকে প্রবীণ আসগর আলী, তার বয়স ১০৩ বছর, থাকেন মধ্য মশালডাঙায়। ভারত ও বাংলাদেশের ছিটমহলের সমস্যা মেটানোর জন্য ১৯৫৮ সাল থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর ১৯৭৪, ১৯৮২ এবং ২০১১ সালে ফের চুক্তি হয়। অবশেষে গত ৩১ জুলাই মাঝরাতে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দেশের মধ্যে থাকা ছিটমহলগুলো হস্তান্তরিত হয়। এরপরই তাদের নাম ভোটার তালিকায় তোলার কাজ শুরু হয়। প্রসঙ্গত ভারতের ৫১টি ছিমহলের বেশিরভাগই রয়েছে কোচবিহার জেলায়। তার জনসংখ্যা ১৪ হাজার ৮৬৪ জন। বাংলাদেশে রয়েছে ১১১টি ছিটমহল। জনসংখ্যা ৩৮ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে ৯২২ জন ভারতে চলে এসেছেন। তারা বিভিন্ন ক্যাম্পে রয়েছেন।

দীর্ঘ দিন ধরে সাবেক ছিটমহলবাসীদের অধিকারের দাবিতে লড়াই করা, সাবেক ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল সমন্বয় কমিটির কর্মকর্তা দিপ্তীমান সেনগুপ্ত এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন ‘১৫ হাজার ছিটমহলবাসী ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। এর মধ্যে ৯ হাজার ৭৭৬ জন ভোটার প্রথম বারের জন্য ভোট দেবেন।’ পাশাপাশি সাবেক ছিটমহলবাসীদের সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ ও ভূমির অধিকারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন ‘৫১টি ছিটমহলের বাসিন্দারা (১৪ হাজার ৮৬৪ জন) ভারতীয় নাগরিকত্ব পেলেও ভূমির অধিকার পাননি।

এদিকে ভোট সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশনও যাবতীয় প্রস্তুত সেরে ফেলেছে। প্রতিটি বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী। ভোটারদের সচেতন করতে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাদের উৎসাহিত করতে এলাকায় মোবাইল মিউজিয়াম গাড়িও ঘুরছে।

সর্বশেষ খবর