শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

আইএসের হত্যা তালিকায় আট হাজার মার্কিন নাগরিক

আইএসের হত্যা তালিকায় আট হাজার মার্কিন নাগরিক

বিশ্বের ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) আট হাজার মার্কিন নাগরিককে হত্যার তালিকা তৈরি করেছে। মার্কিন নাগরিক ছাড়াও এই তালিকায় কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় দেশের নাগরিকদের নামও রয়েছে। মুসলমানদের নির্যাতনের প্রতিশোধ হিসেবে ওই তালিকার লোকজনকে হত্যা করতে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস তার সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তালিকাটি ইংরেজি ও আরবি ভাষায় তৈরি করা। এ পর্যন্ত হত্যার জন্য আইএস যত তালিকা করেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় তালিকা এটি। এতে ৭৮৪৮ মার্কিন নাগরিক, ৩১২ জন কানাডীয়, ৩৯ জন ব্রিটিশ ও ৬৯ জন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকের নাম-ঠিকানা রয়েছে। আইএসের ইউনাইটেড সাইবার খিলাফত হ্যাকার গ্রুপ গোপন অ্যাপসের মাধ্যমে ওই ৮৩১৮ জনের তালিকা করে। ২০১৫ সালের এপ্রিলে ওই হ্যাকার গ্রুপের সৃষ্টি হয় বলে মার্কিন গোয়েন্দারা জানিয়েছে। তালিকায় বেলজিয়াম, ব্রাজিল, চীন, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মান, গ্রিস, গুয়েতেমালা, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, ইসরায়েল, ইতালি, জামাইকা, নিউজিল্যান্ড, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সুইডেনের নাগরিকদের নাম রয়েছে।

পরমাণু হামলার আশঙ্কায় ইউরোপজুড়ে আতঙ্ক : ইসলামিক স্টেট (আইএস) পরমাণু বোমা হামলা চালাতে পারে এমন খবর প্রচার হওয়ার পর ব্রিটেনসহ গোটা ইউরোপজুড়ে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আইএসের হামলা ঠেকাতে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে ফ্রান্স।

যোগ দিয়েছেন তিউনিসীয় ৭০০ নারী : পাকিস্তান-ভারত থেকে এর আগে ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক সশস্ত্র আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটে (আইএস) নারীদের যোগ দেওয়ার খবর পাওয়া যায়। এবার আইএসে যোগ দিয়েছেন উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার ৭০০ নারী। এ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন দেশটির সরকার ও সচেতন মহল। খুব শিগগিরই এসব নারী তাদের পরিবার ছেড়ে আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যুদ্ধের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যোগ দেবেন। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর প্রকাশ করে। যোগ দেওয়ার মধ্যে একজন হলেন উলফা হামরুহানি। যার এক সন্তান ইতিমধ্যে পরিবার থেকে পালিয়ে আইএসে যোগ দিয়েছেন। অর্থনৈতিক সংকট আর পারিবারিক টানাপড়েনে তারা এই পথ বেছে নিয়েছেন। হামরুহানি বলেন, ‘বাড়িতে কোনো সুখ নেই, শান্তি নেই। আমি জানি, আমি মারা যাব, বরং সেটাই ভালো।’ হামরুহানির দুই মেয়ের মধ্যে এক মেয়ে এক জঙ্গি যোদ্ধাকে বিয়ে করেছেন। যিনি গত বছর তিউনিসিয়ায় পর্যটকদের ওপর হামলার পরিকল্পনায় সহযোগিতা করেছিলেন। তার দুই মেয়েই এখন গ্রেফতার হয়ে লিবিয়ার ত্রিপলি কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তার পাঁচ মাস বয়সী এক নাতনিও গ্রেফতার রয়েছে। যেহেতু তারা আইএসের মতবাদের সঙ্গে এক হয়েছেন, সুতরাং আর বলে লাভ নেই। আইএস তাদের আর ফিরতে দেবে না। আইএসই তাদের প্রথম ও শেষ ঠিকানা। তাদের বাবা-মা, শাসক, স্বপ্ন-আশা সবকিছুই এখন আইএসকে নিয়ে বলেও জানান, উলফা হামরুহানি। ডেইলি মিরর, এএফপি।

সর্বশেষ খবর