বুধবার, ২০ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনতে মরিয়া

মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনতে মরিয়া

তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ইস্তাম্বুলের সরাচান পার্কে গতকাল প্রতিবাদকারীরা জড়ো হন —এএফপি

তুরস্ক, ইইউর হুঁশিয়ারিতুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান দেশটিতে অভ্যুত্থান চেষ্টার পর আবারও মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনতে মরিয়া। শিগগিরই এ জন্য পার্লামেন্টে আইন পাস হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে ইউরোপের নেতারা বলছেন মৃত্যুদণ্ডের বিধান ফিরিয়ে আনলে তুরস্কের ইইউতে যোগ দেওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা সেখানেই শেষ হয়ে যাবে। এরদোগান সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড পুনরায় চালু করার ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎকারে মৃত্যুদণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মানুষজন বলে কেন তাদেরকে আমি বছরের পর বছর জেলখানায় রেখে খাওয়াব?’ ওই অভ্যুত্থান চেষ্টার পর প্রেসিডেন্ট এরদোগান তার প্রতিপক্ষের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে যে কথা উঠছে তাকে কুৎসা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ এই অবস্থার দ্রুত অবসান চায়। কারণ তারা আত্মীয়, পরিবার এবং শিশুদের হারিয়েছে। মানুষ খুব সংবেদনশীল হয়ে আছে। তাই আমাদেরকেও বাস্তবসম্মত ও সংবেদনশীল আচরণ করতে হবে।’ এসব কারণেই তুরস্কের পশ্চিমা মিত্ররা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, প্রেসিডেন্ট এরদোগানের এই ঘটনায় পর পরিমিত প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলসহ ইউরোপের নেতারা বলছেন, যদি তুরস্ক আবার মৃত্যুদণ্ড চালু করে তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার তাদের যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে সেটা ওখানেই শেষ হয়ে যাবে। এদিকে এই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার পেছনে ফেতুল্লাহ গুলেনের মদদ আছে কি নেই সে প্রসঙ্গে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি প্রমাণ চাইতে থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি বলছিলেন, এই গুপ্তঘাতকরা একটি নির্বাচিত সরকারকে সরাতে চেয়েছিল। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এ সময় ইঙ্গিত করে বলেন, যদি আমাদের বন্ধুর এ ব্যাপারে প্রমাণের দরকার হয় তাহলে আমাদের বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আমাদের আবারও ভাবতে হবে। অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রায় ৯ হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে, ছয় হাজার সেনা সদস্যকে আটক করেছে এবং ৩ হাজারের মতো বিচারককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বিবিসি।

সর্বশেষ খবর