বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এরদোগানের টার্গেট

চলছে গণগ্রেফতার ও চাকরিচ্যুতি

এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এরদোগানের টার্গেট

তুরস্কে শুক্রবারের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর এ পর্যন্ত ৫০ হাজারেরও বেশি লোককে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে এবং এদের বড় একটি অংশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথম দুদিনে সরকারের টার্গেট ছিল প্রধানত সেনাবাহিনী এবং বিচারকসহ বিচার বিভাগের কর্মচারীরা। এখন আওতা বাড়িয়ে চলেছে এরদোগান সরকার। প্রধান টার্গেট হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ পর্যন্ত ২১ হাজার শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া, ১৫ হাজারেরও শিক্ষা কর্মকর্তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। পাশাপাশি, দেশটিতে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় হাজারেরও বেশি ডিনকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট এরদোগান গতকাল শিক্ষকদের ওপর খড়গ আরও শানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিদেশ সফর আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অভ্যুত্থানের পর কেন শিক্ষকদের প্রধান টার্গেটে পরিণত করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান? এর উত্তর খুঁজতে ১৯৯৭ সালে শেষবার তুরস্কে সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের সময়ে যেতে হবে। সে সময় অভ্যুত্থানের পর সারা দেশে বহু ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নতুন করে জোর দেওয়া হয় ধর্ম-নিরপেক্ষ শিক্ষা। ২০০২ সালে এরদোগানের ইসলামপন্থী একে পার্টি নির্বাচনে জিতে ক্ষমতা নেওয়ার পর পরিস্থিতি বদলাতে থাকে।

এদিকে ইস্তাম্বুল থেকে বিবিসির পল কারবি লিখছেন ইসলামী শিক্ষা জোরদার করাকে এরদোগান তার ব্যক্তিগত মিশন হিসাবে নিয়েছিলেন। এরদোগন একাধিকবার খোলাখুলি বলেছেন, তিনি একটি ‘ধার্মিক’ প্রজন্ম তৈরি করতে চান এবং সে জন্য পুরো শিক্ষা খাতকে সংস্কার করতে চান। অনেক পর্যবেক্ষক মনে করছেন, অভ্যুত্থানের সুযোগ নিয়ে এরদোগান শিক্ষা খাতে তার মিশন বাস্তবায়ন দ্রুততর করতে চাইছেন।

শুধু তাই নয়, তুরস্কের গণমাধ্যম পরিচালনাকরী পর্ষদ মঙ্গলবার ২৪টি বেতার এবং টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স বাতিল করেছে। এ বেতার ও টিভি চ্যানেলগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে। সরকার বলছে, যারা বরখাস্ত হয়েছে তারাও সবাই গুলেনের মিত্র। তবে গুলেন বরাবরই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছেন।

ওদিকে, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম পার্লামেন্টে বলছেন, ‘গুলেন একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরা তাদের সমূলে উৎপাটন করব।’ বিবিসি, এএফপি, সিএনএন

সর্বশেষ খবর