শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

তুরস্কে মজুদ পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র

ন্যাটোভুক্ত অনেক দেশেই যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশেষ অস্ত্র’ মজুদ আছে। এর মধ্যে তুরস্কেও রয়েছে এই অস্ত্র, যা স্নায়ু যুদ্ধের সময় মোতায়েন করা হয়। এই ‘বিশেষ অস্ত্র’ হলো আসলে পরমাণু অস্ত্র। সেই ৬০-এর দশকেই ন্যাটোর অন্য সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুসারে তুরস্কসহ বেশ কিছু দেশ তাদের মাটিতে মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্র বা সেই অস্ত্র প্রয়োগে সক্ষম ব্যবস্থা রাখার অনুমতি দেয়। চুক্তি অনুযায়ী এসব জায়গায় ‘বি৬১ নিউক্লিয়ার গ্র্যাভিটি’ বোমা মজুদ থাকার কথা। এবং সেই অস্ত্রের দেখভাল করার কথা আমেরিকারই। তুরস্কের ইনসিরলিঙ্ক  তেমনই একটি ঘাঁটি। তুরস্কে প্রায় ৯০টি মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ রয়েছে বলে খবর। ইনসিরলিঙ্কে মাটির নিচে বিমানের হ্যাঙ্গারে এই অস্ত্র মজুদ রয়েছে। ১২ ফুট লম্বা বোমাগুলোর ওজন ৭০০ পাউন্ডের মতো। এ ধরনের বোমা বহন করার জন্য ইনসিরলিঙ্কে এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন, এফ-১৫ই এবং এফ/এ-১৮ হর্নেট যুদ্ধবিমানও রয়েছে। তুরস্কে মার্কিন এই পরমাণু অস্ত্র রাখার অন্যতম কারণ অবশ্যই রাশিয়া। আর ইনসিরলিঙ্ক আমেরিকার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা এরদোগান জানেন। তাই তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের ব্যর্থ চেষ্টার পরের দিনই ইনসিরলিঙ্ককে বিদ্যুৎ ও পানি বিছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। পরে তা চালু হয়েছে। কিন্তু এরদোগান সাময়িক অসহযোগিতার মাধ্যমে বার্তা দিতে চেয়েছেন, তুরস্কের দাবি আমেরিকা না মানলে ওই বিমান ঘাঁটিটি নিয়ে টানাপোড়ন বাড়বে। তার চেয়েও বড় ভয় কিন্তু ইনসিরলিঙ্ক বিমান ঘাঁটির নিরাপত্তা নিয়ে। অভ্যুত্থানের পরে তুরস্কের সেনার অবস্থা টালমাটাল। ফলে ইনসিরলিঙ্কে এখন কোনো নাশকতা বা জঙ্গিহানা হলে  সেখানে মোতায়েন মার্কিন বাহিনী তুরস্কের সেনার সাহায্য কতটা পাবে, তা বলা শক্ত। আইএস বা আইএস-এর মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর তুরস্ক জুড়ে প্রভাব ছড়িয়েছে। ফলে বড়সড় অঘটন ঘটলে জঙ্গিদের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র চলে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। ফলে তুরস্কের সঙ্গে আগামী দিনের দরকষাকষিতে আমেরিকাকে যথেষ্ট সাবধানেই পা ফেলতে হবে। বিবিসি।

সর্বশেষ খবর